কলকাতা: করোনাকালে পুজো হবে, তবে কমবে বহর। মণ্ডপসজ্জা, আলোর যে সমারোহ প্রতিবার মহম্মদ আলি পার্ক করে, এবারের পুজোয় তা দেখা যাবে না। গতবারের বাজেটের মাত্র ২৫ শতাংশ এবারের পুজোর বাজেট। গ্রামে যেমন মাটির ছাউনি দেওয়া ছোট্ট মণ্ডপে দুর্গা পুজো হয়, এবার তেমন করেই পুজো করার ভাবনা মধ্য কলকাতার ‘মধ্যমণি’ মহম্মদ আলি পার্কের।
নদিয়ার প্রতিমা শিল্পী কুশ বেরাকে প্রতিমার বায়না করে দেওয়া হয়েছে। তবে অতীতে ২০-২২ ফুটের যে উচ্চতা, চালচিত্র নিয়ে প্রতিমা হত, এবার তা হচ্ছে না। একচালার প্রতিমা, সর্বোচ্চ উচ্চতা হবে ১০-১২ ফুট। মহম্মদ আলি পার্কে ইয়থ অ্যাসোসিয়েশনের সেই পুজোর খুঁটি পুজো হল আজ। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায়, বিধায়ক স্মিতা বক্সি এবং কাউন্সিলর রেহানা খাতুন।
মহম্মদ আলি পার্ক পুজো কমিটির পদাধিকারী অশোক ওঝা এবিপি আনন্দকে জানিয়েছেন, “করোনা অতিমারীর কারণে পুজো নিয়ে এবার বিশেষ বড় কোনও পরিকল্পনা নেই। তার ওপর বিজ্ঞাপনও কম। গত বাড়ের বাজেটের ২৫ শতাংশ ব্যয় করে এবার পুজো করা হবে।” তিনি আরও জানান, “২ মাস আগে সরকারকে চিঠি দিয়েছি এবং তারা আমাদের সহযোগিতা করছে। কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম এবং মন্ত্রী সুজিত বসু আমাদের প্রশাসনিক সাহায্য করেছেন। আমরা সরকারি করোনা বিধি মেনেই পুজো করব।”
একই সঙ্গে তিনি জানান, ৫২ বছরে পা রাখা ঐতিহ্যবাহী পুজো এবার হবে মহম্মদ আলি পার্কের ফায়ার স্টেশনের সামনে। দর্শকরা মণ্ডপের ভিতরে ঢুকতে পারবেন না। মাতৃদর্শন করতে হবে বাইরে থেকেই। বিগত সময় পুজোকে কেন্দ্র করে যে মেলা হত, দোকান বসত, তা এবার পুরোপুরি বন্ধ। মানুষের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহম্মদ আলি পার্ক। তবে প্রতিবার দেবী প্রতিমায় যে চমক এখানে দেখা যায়, তা এবারও থাকছে।