কলকাতা: বি. কম পড়েই চিকিৎসক!!! কোঠারির মতো নামজাদা হাসপাতালে ২১ বছর ধরে রোগী দেখা! বেলভিউয়ের নরেন পাণ্ডের পর অন্যন্য কীর্তির আরেক কারিগর, ধৃত জাল চিকিৎসক অজয় তিওয়ারি। সিআইডি সূত্রে দাবি, এই বিদ্যে নিয়েই শহরের ৫ ক্লিনিকে পসার জমিয়েছিলেন অজয় তিওয়ারি।
খিদিরপুরের বাবুবাজার থেকে পাহারপুর রোড, গার্ডেনরিচ, কলুটোলা এবং সিআইটি রোডের ফিলিপ্স মোড়ে চেম্বার রয়েছে ধৃত অজয় তিওয়ারির। সিআইডি সূত্রে দাবি, ১৯৯৬ সালের ১৭ অগাস্ট থেকে কোঠারি মেডিক্যাল সেন্টারে গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন অজয় তিওয়ারি। এন্ডোস্কোপিও করতেন তিনি।
সিআইডি সূত্রে এও দাবি, আইজলের এক চিকিত্সকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করতেন অজয় তিওয়ারি। তবে ধৃতের এমবিবিএস ডিগ্রি ভুয়ো। তিনি বি.কম নিয়ে পড়াশোনা করেছেন বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।
কিন্তু কীভাবে সবার চোখে ধুলো দিয়ে ২১ বছর ধরে কোঠারির মতো নামজাদা হাসপাতালে চিকিত্সা চালিয়ে গেলেন ধৃত অজয় তিওয়ারি? এবিষয়ে কোঠারি মেডিক্যাল সেন্টারের সিইও রাজেশ ওয়াঘমারে-র দাবি, অজয় তিওয়ারি কোঠারি মেডিক্যাল সেন্টারের ভিসিটিং কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করতেন।
১৯৯৬ সালে তৎকালীন কর্তৃপক্ষের সম্মতিতেই কাজ শুরু করেন। অসম মেডিক্যাল কাউন্সিলের অধীনে তাঁর এমবিবিএস ডিগ্রি আছে বলে দাবি করেছিলেন অজয় তিওয়ারি।
রাজ্যে কর্মরত সকল চিকিৎসকেরই পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের অধীনে রেজিস্ট্রেশন থাকতে হবে বলে সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকার। তারপর থেকেই কোঠারিতে আসা বন্ধ করে দেন অজয়।
সিআইডি সূত্রে খবর, ডাক্তারি না পড়েই ডাক্তারি করলেও, বিমানচালকের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ধৃত অজয় তিওয়ারি! আপাতত এই কীর্তিমানের আস্তানা সিআইডি হেফাজতে।