কলকাতা: হাওড়ার সলপে ফেরারি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত আসনা সুরানার অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়লেও, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন ওই তরুণী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি একবালপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি।

হাওড়ার সলপের কাছে পাকুড়িয়া সেতুর উপর ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় গতকাল মৃত্যু হয়েছে গাড়ি মালিক, ব্যবসায়ী শিবাজি রায়ের। গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর বন্ধুর মেয়ে। প্রশ্ন উঠছে, সাড়ে তিন কোটি টাকা দামের ফেরারি গাড়িতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি থাকা সত্বেও কেন তা কাজ করল না? জানতে আজ দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটির ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দুর্ঘটনার সময় গাড়ির গতি ছিল ১৫০ কিলোমিটারের উপর। রাস্তায় ৫০-৭০ মিটার জুড়ে গাড়ির চাকা ঘষে যাওয়ার দাগ রয়েছে। তাতে এটা স্পষ্ট, ব্রেক কষে গাড়ি থামানোর চেষ্টা হয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে গাড়ির গতি কত ছিল যা ব্রেক কষেও থামানো যায়নি? বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এধরনের গাড়িতে অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম অথবা অ্যান্টি স্ক্রিড ব্রেকিং সিস্টেম থাকে, গাড়ির গতি বেশি থাকলে, যার মাধ্যমে চাকাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাহলে কি এক্ষেত্রে সেই ব্যবস্থা কাজ করেনি? এইসব প্রশ্নের উত্তর পেতে ফেরারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা ভাবছে পুলিশ।