কলকাতা: ৬৪ দিন জেলে কাটিয়ে আজ জামিনে মুক্তি পেলেন কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের গাড়ির চালক । প্রসঙ্গত, ওই একই অপরাধ করে সঙ্গে সঙ্গে জামিন পেয়ে গেছেন অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়।   দুর্ঘটনায় গাড়িতে বিক্রমের পাশে বসে থাকা মডেল সনিকা সিংহ চৌহানের মৃত্যু হয়। কিন্তু পুলিশ এই ঘটনায় বিক্রমকে গ্রেফতারতো দূর অস্ত, শুধুমাত্র জেরা করেই ছেড়ে দেয়। এই প্রসঙ্গ তুলেই দিন কয়েক আগে কালিকাপ্রসাদের গাড়ির চালকের মা বলেন, জেলের মধ্যে থাকা তাঁর ছেলে তাঁকে প্রশ্ন করেছেন  'মা আমি আর বিক্রম তো একই অপরাধ করেছি! ও সেলিব্রিটি বলে ছাড় পেয়ে গেল? এ কী আইন? কলকাতা ও বর্ধমানের আইন কি আলাদা?'


আইনের চোখে যে সবাই সমান, তা আরও একবার প্রমাণিত হল মঙ্গলবার। কলকাতা হাইকোর্টে মাত্র তিন মিনিটের শুনানিতে জামিন পেলেন অর্ণব।

মঙ্গলবার বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে বিচারপতি অসীমকুমার রায় ও বিচারপতি অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে জামিনের আবেদনের শুনানি শুরু হয়। শুরুতেই সরকারি আইনজীবী বলেন,  গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে শিল্পী কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যর। গাড়ির চালক অর্ণব রাও অত্যন্ত দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তাঁকে বারণ করা সত্ত্বেও শোনেননি। সরকারি আইনজীবীর এই কথা শুনে বিচারপতি অসীমকুমার রায় বলেন, বিখ্যাত ব্যক্তির নাম বলে আদালতকে প্রভাবিত বা পক্ষপাতদূষ্ট করার চেষ্টা করবেন না। এই মামলার ক্ষেত্রে কী কী তথ্য আপনাদের হাতে আছে, সেটাই শেষ কথা।

৩ মিনিটের এই সওয়াল জবাবের পরেই অভিযুক্ত অর্ণব রাওয়ের জামিন মঞ্জুর করে বেঞ্চ।

১০ হাজার টাকার ২টি সিকিউরিটি বন্ডের বিনিময়ে অর্ণবের জামিন মঞ্জুর করা হয়। পাশাপাশি সপ্তাহে একদিন তদন্তকারী অফিসারের সামনে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ,

এক্ষেত্রে চালকের বিরুদ্ধে ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। কিন্তু ৩০৪ এ ধারায় গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগে মামলা দায়ের হতে পারত।

অর্ণব রাওকে জামিন দেওয়ার পাশাপাশি

১৬৪ ধারায় তাঁর গোপন জবানবন্দি কেন নেওয়া হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতিরা।