কলকাতা: কড়েয়া থানার কাছে গুরুসদয় দত্ত রোডে গাড়ির যন্ত্রাংশের গুদামে বিধ্বংসী আগুন লাগল। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ওই গুদাম ও আশপাশের আট থেকে দশটি ঝুপড়ি। আজ ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ ৯ নম্বর গুরুসদয় দত্ত রোডের ওই গাড়ির যন্ত্রাংশের গুদামে আগুন লাগে।

গুদাম থেকে আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের ঝুপড়িতে। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারদিক। আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। পরে দমকল কর্মীরা আসেন। দমকল দেরিতে আসার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় মানুষ। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। এতে কারও প্রাণহানি হয়নি।

গতকাল সকালেই রাজাবাজারের নারকেলডাঙার ঝুপড়িতে আগুন লাগে। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় কয়েকটি ঝুপড়ি। শীতের মধ্যে নিরাশ্রয় হয়ে পড়েন নারকেলডাঙার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। ১৩ তারিখ বাগবাজারে বিধ্বংসী আগুনে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন প্রায় ৭০০ জন ঝুপড়ি বাসী।  ১০০টির বেশি ঘর আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। ১৩ তারিখ রাতে নিরাশ্রয়দের কোনও রকমে মাথা গোঁজার ঠাঁই মেলে বাগবাজার মহিলা কলেজ ও কমিউনিটি হলে। অনেকেরই মূল্যবান নথিপত্র আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দেখা গিয়েছে, ছাই সরিয়ে ধিকিধিকি আগুন আর ধোঁয়ার মধ্যেই নিজেদের শেষ সম্বলটুকুর সন্ধান করে চলেছেন নিঃসহায় মানুষ।

এর পর ২২ তারিখ আসানসোলের মুর্গাসোলে বাস চালকের তৎপরতায় অল্পের জন্য রক্ষা পান যাত্রীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়া থেকে রাঁচিগামী একটি বাসের চালক লক্ষ্য করেন, আচমকা ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বার হচ্ছে। সামনেই রামবন্ধুতলাও এলাকায় বাসটিকে দাঁড় করিয়ে তড়িঘড়ি যাত্রীদের নামিয়ে দেন তিনি।  এরপরই বাসটিতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন ও আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। দমকলের প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুড়ে ছাই হয়ে যায় বাসটি।