কলকাতা: পোস্তায় উড়ালপুল নির্মাণকারী সংস্থা আইভিআরসিএল-এর সাইট অফিসে তালা ঝোলানোর একদিনের মধ্যেই ভাঙল ছিটকিনি।
বিবেকানন্দ উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পর, চারদিন দরজা খোলা অবস্থাতেই পড়ে ছিল নির্মাণকারী সংস্থা আইভিআরসিএল-এর এই সাইট অফিস। মঙ্গলবার তালা ঝোলানোর পর বুধবার সকালে আবার দেখা গেল, দরজার ছিটকিনি তোবড়ানো অবস্থায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পোস্তায় বিবেকানন্দ উড়ালপুল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। তিনদিন পর উড়ালপুলের নীচে এই সাইট অফিসে পৌঁছে দেখা যায়, দরজা হাট করে খোলা। অথচ তখনও ভিতরে ছিল তাড়া তাড়া কাগজ। যে রজত বক্সীর ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধছে, তাঁর ও তাঁর সংস্থার নাম লেখা একটি ফাইলও আমরা এই অফিসে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল।
এই ছবি দেখেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, নির্মাণ সংক্রান্ত সবথেকে বেশি তথ্য যেখান থেকে মেলা সম্ভব, সেই অফিসের নিরাপত্তাতেই এত গাফিলতি কেন? তদন্তে নেমে পুলিশ এই অফিস সিল করেনি কেন?
শেষমেশ এনিয়ে বিভিন্ন মহলে শোরগোলের পর, মঙ্গলবার সাইট অফিসের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, বুধবার সকাল হতেই আবার দেখা যায়, দরজার ছিটকিনি ভাঙা। এই অবস্থায় যে কেউ ভিতরে ঢুকতে বা বাইরে বেরোতেই পারে।
বিরোধীরা আগেই দাবি করেছিল, সারদার মতো এখানেও তথ্য লোপাটের চেষ্টা হচ্ছে।
এখন এই ছবি সামনে আসার পর তাঁদের আশঙ্কা, তাহলে কি সেই আশঙ্কাই সত্যি হল? তথ্য লোপাট করতেই কি এই সাইট অফিসে কেউ হানা দিয়েছিল? কারণ, প্রকল্পে কারা কাজ করছিলেন, কীভাবে কাজ হচ্ছিল, সেই সব নথিই সাইট অফিসে রাখা ছিল। একবার তা সরিয়ে ফেলতে পারলে, তদন্তে সূত্র মেলাই দুষ্কর হয়ে পড়বে।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় ধৃত আইভিআরসিএল কর্তাদেরও দফায় দফায় জেরা করছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, প্রকল্প শেষে দেরির দায় নিজেদের ঘাড়ে নিতে চাননি ধৃতরা।
অন্যদিকে, এই প্রকল্পে যে সিমেন্ট, কংক্রিট স্ল্যাব এবং লোহা ব্যবহার করা হচ্ছিল, তার গুণমানও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।