কলকাতায়: দিল্লির পর এবার ‘গোলি মারো’ স্লোগান কলকাতাতেও। অমিত শাহর সভায় যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীদের স্লোগান। নিউ মার্কেট থানায় অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে মামলা। নিউ মার্কেট থানায় মামলা রুজু হয়েছ। হুমকি সহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু।
বিজেপি কর্মীদের স্লোগান ঘিরে ফের বিতর্কের মধ্যেই অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে সিপিএম-কংগ্রেস। যদিও পাল্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছে বিজেপি।
রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সভার প্রতিবাদে জওহরলাল নেহরু রোডে বিক্ষোভ দেখাছিল বাম ছাত্র সংগঠন-সহ আরও কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা। সেখানে ওঠে গো-ব্ল্যাক স্লোগান। তখনই ঠিক উল্টোদিক থেকে একদল বিজেপি সমর্থক সভায় যোগ দিতে আসছিলেন। সেখান থেকে পাল্টা শোনা যায় ‘গোলি মারো’ স্লোগান। একবার নয়, বারবার। বিজেপি সমর্থকদের মিছিল থেকে এই স্লোগান নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। এনিয়ে সুর চড়িয়েছে সিপিএম-কংগ্রেসও।
সিএএ ইস্যুতে এই ‘গোলি মারো’ স্লোগান ঘিরে বারবার বিতর্ক ছড়িয়েছে দিল্লিতে। প্রথমে দিল্লি বিধানসভা ভোটের আগে, কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সভায় শোনা যায় এই স্লোগান। উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসা ছড়ানোর পর লক্ষ্মীনগরের বিধায়ক অভয় বর্মার একটি মিছিলের ভিডিও ট্যুইট করেন আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংহ। সেই মিছিলেও ওঠে ‘গোলি মারো’ স্লোগান। বিজেপি নেতাদের এই হুমকি-হুঁশিয়ারি নিয়ে, বুধবার ক্ষোভ প্রকাশ করে দিল্লি হাইকোর্ট।
দিল্লির বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র, দিল্লির লক্ষ্মীনগরের বিজেপি বিধায়ক অভয় বর্মা, পশ্চিম দিল্লির বিজেপি সাংসদ প্রবেশ বর্মা এবং কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, এই চারজনের বিরুদ্ধে বুধবার এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধর।
কিন্তু, বুধবার গভীর রাতেই বিচারপতি এস মুরলীধরের বদলির নির্দেশিকা জারি করেন রাষ্ট্রপতি। মামলার পরবর্তী শুনানি হয় দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি এন পটেলের বেঞ্চে। কেন্দ্রকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য একমাস সময় দেয় সেই বেঞ্চ।
এরপরই শনিবার দিল্লিতে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রর উপস্থিতিতে, একটি মিছিলে ফের ওঠে গোলি মারো স্লোগান। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা শোনা গেল কলকাতাতেও। তা-ও অমিত শাহর সভামুখী বিজেপি সমর্থকদের মুখেই।