কলকাতা: কয়েক বছরের টানাপোড়েনের অবসান হয়েছে বুধবার! জিএসটি বা পণ্য পরিষেবা কর বিল পাস করাতে গিয়ে এআইডিএমকে ছাড়া সব দলকেই পাশে পেয়েছে কেন্দ্র। নরেন্দ্র মোদী সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলও। সব দলই এখন লাভ-ক্ষতির হিসেব-নিকেশে ব্যস্ত। যদিও শিল্পমহলের দাবি, জিএসটি চালু হলে লাভ হবে বাংলার।
শিল্পমহলের একাংশের যুক্তি, বাইরে থেকে কাঁচামাল আনতে দফায় দফায় কর দিতে হয় উৎপাদনকারীকে। ফলে যেখানে পর্যাপ্ত কাঁচামাল পাওয়া যায়, সেখানেই উৎপাদনে আগ্রহী হন লগ্নিকারীরা। তারপর উৎপাদিত পণ্য বিপণনের জন্য নিয়ে আসা হয় পূর্বাঞ্চলে।
জিএসটি চালু হলে কাঁচামাল আনতে উৎপাদনকারীকে আর দফায় দফায় নয়, কর দিতে হবে একবারই। ফলে কাঁচামালের জন্য বিপুল করের টাকা বাঁচাতে বাইরের রাজ্যে কারখানা তৈরির জন্য ছুটতে হবে না।
কাঁচামাল আনার পথ মসৃণ হলে পশ্চিমবঙ্গেই উৎপাদনে আগ্রহী হবেন লগ্নিকারীরা।
শিল্পপতিদের একাংশের আরও বক্তব্য, উৎপাদিত পণ্য সড়কপথে পরিবহণের সময় বারবার টোল প্লাজায় দাঁড়াতে হয়। ফলে একদিকে যেমন উৎপাদিত পণ্য পরিবহণে দীর্ঘ সময় লাগে, তেমনই বহু ক্ষেত্রে পণ্যের ক্ষতি হয়, মোটা টাকা লোকসান হয়, প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে হয়।
জিএসটি চালু হলে উৎপাদিত পণ্য নয়, বরং বাইরে থেকে কাঁচামাল আনতেই বেশি উৎসাহী হবেন উৎপাদনকারীরা। তাতে  একদিকে যেমন উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনা যাবে, অন্যদিকে উৎপাদিত পণ্যও দ্রুত বাজারে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
জিএসটি রাজ্যসভার ছাড়পত্র পাওয়ার পর, ট্যুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, তাঁরা জিএসটি-র বাস্তবায়নকে ধারাবাহিকভাবে সমর্থন জানিয়ে এসেছেন। একটা ভাল সংবিধান সংশোধনী পাস হল।
অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, গোটা দেশে অভিন্ন কর ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে আর্থিক বৃদ্ধির হারও বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হল। এর ফলে আরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরি হবে।