কলকাতা:  জিডি বিড়লাকাণ্ডে ধৃত ২ শিক্ষক অভিষেক রায় এবং মহম্মদ মফিজুদ্দিনকে আজ আদালতে পেশ করবে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ৪ এবং ৬ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সকালেই যাদবপুর থানায় আসেন ৪ আইপিএস অফিসার। ছিলেন যুগ্ম কমিশনার ক্রাইম বিশাল গর্গ, ডিসি এসএসডি রূপেশ কুমার, ডিসি ডিডি-২ নীলু শেরপা চক্রবর্তী এবং ডিসি ফোর্থ ব্যাটেলিয়ন আনন্দ রায়। কেস ডায়েরি-সহ অন্যান্য নথি খতিয়ে দেখে, কীভাবে মামলা পেশ করা হবে সেবিষয়ে পর্যালোচনা করেন তাঁরা। পাশাপাশি, নির্যাতিত শিশুর গোপন জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করতে পারেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। গতকাল দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


এদিকে জি ডি বিড়লা স্কুলের সামনে অভিভাবকদের বিক্ষোভ অব্যাহত। সকাল ৬টা নাগাদ স্কুলের সামনে চলে আসেন নির্যাতিত শিশুর বাবা। তাঁর দাবি, গতকাল সারারাত যন্ত্রণায় ছটফট করেছে মেয়ে। পাশাপাশি, তথ্য গোপন, ষড়যন্ত্র এবং অপরাধকে প্রশয়কে দেওয়ার অভিযোগে স্কুলের অধ্যক্ষার গ্রেফতারের দাবি করেছেন তিনি। বাবার আরও অভিযোগ, অ্যাফিলিয়েশন না থাকা সত্বেও অবৈধভাবে চলছে স্কুল। স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন শিশুর বাবা। এছাড়াও অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি করেছেন তিনি। প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে গতকাল মধ্যরাতে স্কুলের গেটের কাছে তড়িঘড়ি বসানো হয় একটি সিসিটিভি ক্যামেরা। স্কুলের মধ্যে ক্যামেরা না বসিয়ে বাইরে বসানো হল কেন? প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা।

জিডি বিড়লাকাণ্ডে অভিভাবকদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের অভিভাবক ফোরামের সদস্যরা। সকালেই ফোরামের প্রতিনিধিরা স্কুলের সামনে চলে আসেন। প্ল্যাকার্ড নিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। ফোরামের তরফে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি, স্কুলের গাফিলতি নিয়েও সরব হয়েছেন তাঁরা।