কলকাতা: মানিকতলার মুরারিপুকুরে গৃহবধূর রহস্যমৃত্যু। শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম নন্দিতা বিশ্বাস। পণের জন্য তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ মৃতের বাপের বাড়ির আত্মীয়দের।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে খবর, বাঁকুড়ার নন্দিতা সরকারের সঙ্গে বছর দেড়েক আগে বিয়ে হয় মানিকতলার মুরারিপুকুরের বাসিন্দা তন্ময় বিশ্বাসের। তন্ময় পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ।
নন্দিতার বাপের বাড়ির দাবি, বিয়ের সময় পণ দেওয়া সত্ত্বেও দিন দিন তন্ময়ের চাহিদা বাড়ছিল। সে সব না পেয়ে স্ত্রীয়ের উপর শুরু করেন মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। আর থাকতে না পেরে, শনিবার, দুপুরে গৃহবধূ নন্দিতা তাঁর বাপের বাড়িতে ফোনে জানান, তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে। হয়ত মেরেই ফেলবে।
গৃহবধূর পরিবারের দাবি, মারের চোটে নন্দিতার গায়ে কালশিটে পড়ে যায়। সেই ছবি তিনি শনিবার এক আত্মীয়কে হোয়াটসঅ্যাপেও পাঠান।
হোয়াটসঅ্যাপ নির্যাতনের ছবি পাঠানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব শেষ। শনিবার সন্ধেয়, মানিকতলায় শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। মৃতের বাপের বাড়ির অভিযোগ, নন্দিতাকে খুন করা হয়েছে।
মৃত গৃহবধূর কাকিমা ছন্দা সরকারের অভিযোগ, শ্বশুর, সবাই মিলে শ্বাসরোধ করে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। মৃত গৃহবধূর মা বলেন, এর আগেও মারধর করেছিল। কঠোর শাস্তি চাই।


গৃহবধূর বাপের বাড়ির করা অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আত্মহত্যায় প্ররোচনা, বধূ নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের হয়েছে মামলা। যদিও, ধৃতের আত্মরা অভিযোগ মানতে নারাজ। ধৃত স্বামীর পিসি সুধা রায়ের দাবি, সব অভিযোগ মিথ্যে। স্বামীকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও শ্বশুরবাড়ির বাকি অভিযুক্ত সদস্যরা পলাতক।