কলকাতা: ২০১৯ সাল থেকে আইআইটি খড়্গপুরে চালু হতে চলেছে এমবিবিএস কোর্স। মোট ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে চালু হবে এই কোর্স। প্রসঙ্গত, আইআইটি খড়্গপুর হতে চলেছে প্রথম কারিগরি প্রতিষ্ঠান যেখানে মেডিক্যাল কোর্স চালু হবে।

সূত্রের খবর, ক্যাম্পাসে একটি চারশো বেড বিশিষ্ট হাসপাতাল থাকবে। সেখানে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি থেকে রোগীও নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে হাসপাতাল চালুর পরই মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে কোর্স চালুর বিষয়ে অনুমতি নেবে আইআইটি। তবে কোর্সের প্রথম ব্যাচে পঞ্চাশজন ছাত্র-ছাত্রী থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি ডিরেক্টর শ্রীমান কুমার ভট্টাচার্য। ছাত্র-ছাত্রীদের ডিগ্রি প্রদানও করবে আইআইটি খড়্গপুর। অ্যাডমিশন সংক্রান্ত প্রক্রিয়াও কয়েকদিনের মধ্যে স্থির করে ফেলা হবে।

প্রতিষ্ঠান সূত্রে খবর, তারা নিজেদের মতো করে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেবে, নিট-এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী নাও নিতে পারে। মূলত, দেশের সমস্ত আইআইটিগুলো সম্পূর্ণ আলাদা নিয়ম চলে। সেইজন্যেই তারা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোরও আলাদাভাবে পরীক্ষা নেয়। তবে এমবিবিএস-এর প্রবেশিকা সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়াই হয়নি।

তবে এই কোর্স চালুর নেপথ্য কারণ হিসেবে আইআইটি-র ডেপুটি ডিরেক্টরের দাবি, স্থানীয় মানুষদের প্রয়োজন মেটাতে এবং তাঁদের উন্নতমানের চিকিত্সা পরিষেবা দিতেই এই উদ্যোগ তাঁদের। প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি ডিরেক্টর চান, আইআইটি নিয়ন্ত্রিত হাসপাতালটি একটি রিসার্চ হাসপাতালে পরিণত হোক, এবং এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারাও চিকিত্সার মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফল ভোগ করুক।

আইআইটির এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কার্ডিওলজি, নিউরোলজি, অর্থোপেডিক, আউট-পেশেন্ট বিভাগ থাকুক। এছাড়াও থাকবে একটি জরুরি বিভাগ ও মেডিক্যাল ডায়গনস্টিক কেন্দ্র। হাসপাতালটি নিয়ন্ত্রণ করবে একটি লাইসেন্স প্রাপ্ত সোসাইটি, যার মাথায় থাকবে বোর্ড অফ গভর্নরসরা। হাসপাতলটি নিয়ন্ত্রণ করবে যে সোসাইটি সেটা নথিভূক্ত করা থাকবে ওয়েস্ট বেঙ্গল রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের অধীনে। বোর্ডের সভাপতি পদে থাকবেন প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর। আইআইটির এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালটির কর্মপ্রক্রিয়া দেখভালের জন্যে বিভিন্ন নামী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। চিকিত্সক দেবী শেঠ্ঠির সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। বহু নামী চিকিত্সকও যুক্ত থাকবেন এই হাসপাতালের সঙ্গে, দাবি সূত্রের।