কলকাতা: চারদিন বাপের বাড়িতে কাটিয়ে উমার শ্বশুরঘরে ফেরার পালা। উমা-বিদায়ের বিষাদের মধ্যেও সিঁদুর খেলায় মাতলেন মহিলারা।


শোভাবাজার রাজবাড়িতে মঙ্গলবার সকালে রীতি মেনে অস্ত্রপুজো হয়। প্রথা মেনে মায়ের চরণ দর্শন করে বিসর্জন দেওয়া হয় দর্পণ৷ এরপর প্রতীকী নীলকণ্ঠ পাখির প্রাণপ্রতিষ্ঠা। কনকাঞ্জলির পর শুরু হয় সিঁদূর খেলা। সবশেষে বিসর্জনের পালা।

একই ছবি চোরবাগানের চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে। মাকে বরণের পর সিঁদূর খেলা। চোরবাগানের চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে সকাল রীতি মেনে দশমী পুজো। এরপর মাকে বরণের পর সিঁদূর খেলা। পারিবারিক নিয়ম মেনে বিসর্জনের শোভাযাত্রায় অংশ নেন না বাড়ির মহিলারা। গঙ্গার ঘাটে বিসর্জনে যান পুরুষ সদস্যরাই।

শ্বশুরবাড়ি ফেরার আগে উমাকে বরণ করে নেন ভবানীপুরের মল্লিকবাড়ির মহিলারা। বিসর্জনের আগে পুজো দালানে চলল সিঁদূরখেলা। মনোহরপুকুর মাতৃমন্দিরে সকালেই শুরু হয় মাকে বরণের পালা।

বাড়ির পুজোর পাশাপাশি বারোয়ারি মণ্ডপেও সিঁদূর খেলায় মাতেন মহিলারা। দূর-দূরান্ত থেকেও অনেকেই হাজির হন বাগবাজার সর্বজনীনের মণ্ডপে। জমে ওঠে সিঁদুর খেলা। বরণের দিন পাড়ার পুজোয় মাতলেন অভিনেতা শুভ্রজিৎ দত্ত। সিঁদূর খেলায় সামিল ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও। তাঁকে পেয়ে চলল সেলফি তোলার হুড়োহুড়ি। রাজনীতির আঙিনা ছেড়ে এদিন পুজো মণ্ডপে হাজির তৃণমূল বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, শশী পাঁজা ও সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

কুমোরটুলি পার্ক সর্বজনীনেও দশমীর দিনে মন খারাপ ভুলে সিঁদূর খেলায় মেতে ওঠেন মহিলারা। সকাল থেকে শুরু হয় দেবী বরণ।

এবার সামনের বছরের অপেক্ষা। মাকে বরণ করার পর কানে কানে তাই বলা, আসছে বছর আবার এসো মা।

বিসর্জন উপলক্ষে গঙ্গার ঘাটে ঘাটে কড়া নিরাপত্তা। আনা হয় স্নিফার ডগ। নৌকায় চড়ে নজরদারি চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও রিভার ট্রাফিক পুলিশ।