কলকাতা: গার্ডেনরিচের ২ বাসিন্দার ডেঙ্গিতে মৃত্যুর জেরে কার্যত রণক্ষেত্র এলাকা। ক্ষুব্ধ জনতার ওপর লাঠিচার্জ করল পুলিশ।


ক’দিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন মহেশতলা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেপুরের বাসিন্দা রবীন পাল। ভর্তি করা হয়েছিল স্থানীয় নার্সিংহোমে। আজ ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে।


তৃণমূল পরিচালিত মহেশতলা পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে মৃতের পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় কাউন্সিলর অযোগ্য, পুরসভা কিছুই করছে না।


মারা গিয়েছেন গার্ডেনরিচের পাহাড়পুর রোডের বাসিন্দা কুমার বিজয়ও। তাঁর মৃত্যুর কারণও ডেঙ্গি।


২ জনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাস্তায় নেমে আসেন মানুষ। রোষের আগুনে পোড়ে পুরসভার গাড়ি। আজ সকাল থেকে পাহাড়পুর রোডে অবরোধে বসেন প্রায় চারশো মানুষ। ডেঙ্গি রোধে পুরসভার বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন বিক্ষোভকারীরা।


এরপরই আসরে নামে পুলিশ। গার্ডেনরিচ থানার পাশাপাশি বন্দর ডিভিশন থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় অতিরিক্ত বাহিনী। শুরু হয় লাঠিচার্জ।


পাশাপাশি অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য বারবার আবেদন জানায় পুলিশ। কিন্তু অবস্থানে অনড় ছিলেন বিক্ষোভকারীরা। স্থানীয় তৃণমূলের দাবি, এই বিক্ষোভ রাজনৈতিক চক্রান্ত।


কয়েক ঘণ্টা অবরোধ চলার পর ঘটনাস্থলে আসেন পুরসভার প্রতিনিধিরা। ছড়ানো হয় ব্লিচিং, স্প্রে করা হয় মশা মারার তেল। এরপর অবরোধ তুলে নেন এলাকাবাসী।


তবে এলাকায় গিয়ে যা ছবি ধরা পড়ল তা রীতিমতো উদ্বেগের। মৃতের বাড়ির পিছনে গিয়ে এবিপি আনন্দের ক্যামেরায় ধরা পড়ল আবর্জনার স্তূপ। বাড়ির সামনের ড্রেনে মশার লার্ভা। খোলা জায়গায়, বাড়ির ভেতরে জমে রয়েছে জল।


যদিও স্থানীয় কাউন্সিলরের স্বামী দাবি করছেন, তাঁদের যা করণীয় করেছেন। ডেঙ্গিতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও মানতে চাইছেন না তিনি। তাঁর দাবি, মৃত দুজনেই অসুস্থ ছিলেন, ডেঙ্গির কারণে মৃত্যু নয়।