কলকাতা:  রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে পাঁচশোরও বেশি জাল ডাক্তার। নবান্নে রিপোর্ট সিআইডির। ১২ জালিয়াতের নামের তালিকা পেশ। নজরে ইউনানি কাউন্সিলের ভূমিকা।

ভবানী ভবন সূত্রে দাবি, জাল ডাক্তারের এই তালিকাটা মোটেও ছোট্ট নয়! অনেকটাই লম্বা!

সম্প্রতি এ নিয়ে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে নবান্নে। ওই রিপোর্টেই রয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য! সিআইডি সূত্রে দাবি,  রাজ্য পুলিশের ডিজিকে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে পাঁচশোরও বেশি জাল ডাক্তার ছড়িয়ে আছে রাজ্যজুড়ে!

যাঁরা কাজ করছেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি নামী হাসপাতালে! তদন্তকারী দলের তরফে প্রথমে রিপোর্টটি এডিজি-সিআইডিকে দেওয়া হয়। এরপর ৫ পাতার ওই রিপোর্ট পৌঁছেছে রাজ্যের প্রশাসনিক সদরে। সূত্রের দাবি,

ডিজিকে ১২ জন সন্দেহভাজনের নাম জানিয়েছে সিআইডি।

ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ দায়েরের পর কীভাবে তদন্ত এগোল, কারা কারা গ্রেফতার হয়েছেন, আগামীর পরিকল্পনা, সবকিছুরই উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে!

ধৃত পাঁচ ‘জাল’ চিকিত্সক সম্পর্কে সবিস্তার তথ্যের পাশাপাশি কীভাবে প্রথমে থেকে অভিযান চালানো হয়েছে, কীভাবে ইউনানি কাউন্সিল মুড়ি-মুড়কির মতো রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে, ওই রিপোর্টে তারও উল্লেখ রয়েছে। বারাসতের রমেশ বৈদ্য কীভাবে অল্টারনেটিভ মেডিসিনের কারবার চালাচ্ছিলেন এবং কীভাবে তিনি ৩০ বছর ধরে জাল মার্কশিট ও শংসপত্র বিক্রির চক্র চালাচ্ছিলেন, তাও রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তাকে জানিয়েছে ভবানী ভবন। সিআইডি সূত্রে খবর, বেশ কয়েকজন কয়েকজন সন্দেহভাজন গোয়েন্দাদের স্ক্যানারে রয়েছেন। যাঁদের মধ্যে অন্যতম হাওড়ার অন্যতম শুভেন্দু ভট্টাচার্য।

যাঁর নামে বুধবারই ব্যাঁটরা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে! তাঁর যে মোবাইল নম্বরটি সিআইডি পেয়েছে, সেটি সুইচড অফ!