কলকাতা: আগে শত্রুরা হানা দিত জল, স্থল ও অন্তরীক্ষের মাধ্যমে। কিন্তু, বর্তমান যুগে সাইবার-দুনিয়ার মাধ্যমেও হানা দিচ্ছে শত্রুরা। আর এই হানার প্রভাব ও বিস্তার প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এই প্রেক্ষিতে ক্রমবর্ধমান সাইবার-হানা রুখতে পৃথক সাইবার এজেন্সি গঠনের জোর ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছে দেশের সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার, সেনা দিবস উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন জিওসি-ইন-সি ইস্টার্ন কমান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম এম নারাভানে। সেখানেই তিনি জানান, সাইবার-হানা মোকাবিলায় একটি ইন্টার-সার্ভিসেস সাইবার এজেন্সি গঠন করার পথে এগিয়ে চলছে সেনা। এই সংক্রান্ত প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই একে চূড়ান্ত রূপরেখা দেওয়া হবে।
সেনার পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান বলেন, সামরিক বাহিনীর তিন বিভাগ- স্থল, নৌ ও বায়ুসেনার থেকে বাছাই করা কর্মীদের নিয়ে এই এজেন্সি তৈরি হবে। সামরিক বাহিনীর যে ইন্টিগ্রেটেড ডিফেন্স স্টাফ (আইডিএস) রয়েছে, তার অধীনেই কাজ করবে এই এজেন্সি।
তিনি যোগ করেন, গোটা দেশে ছড়িয়ে থাকা সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন শাখা-প্রশাখার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সাইবার-হানা সংক্রান্ত তথ্য জোগাড় ও তার মোকাবিলা করার দায়িত্ব থাকবে আইডিএস-এর ওপর। এজেন্সির মাথায় থাকবেন একজন দুই-তারকা পদমর্যাদার অফিসার।
নারাভানে জানান, এই এজেন্সি পূর্ণ কমান্ডের মতো আঞ্চলিক বা কেন্দ্রিক হবে না। তবে, এর বিস্তার দেশ-ব্যাপী হবে। তিনি বলেন, কোনও এক ব্যক্তির পক্ষে দিল্লিতে বসে পুরো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এর মোকাবিলা করতে একটি পূর্ণ-সমন্বয়ের প্রয়োজন। যেমন, প্রত্যেক হেডকোয়ার্টারে সাইবার-নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে দক্ষ বিশেষজ্ঞ ইউনিট ও সেল থাকবে। তারাই গোটা প্রক্রিয়ার দায়িত্ব নেবে।