কলকাতা: ঘটনার চার দিনের মাথায় ফেয়ারলি ঘাট থেকে উদ্ধার রৌনক সাহার দেহ। ময়নাতদন্তের প্রাথকিক রিপোর্টে অনুমান, জলে ডুবেই মৃত্যু। ধাক্কা দিয়ে জলে ফেলে দিয়েছিল এক বন্ধু, অভিযোগ পরিবারের। তদন্তের আগেই কেন দুর্ঘটনার তত্ত্ব খাড়া করেছিল পুলিশ? প্রশ্ন দিদির। ।


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রৌনক সাহার মৃত্যু রহস্যে নয়া মোড়! যেদিন ফেয়ারলি ঘাট থেকে উদ্ধার হল রৌনকের দেহ, সেদিনই খুনের দিকে জোরাল ইঙ্গিত পরিবারের। কাঠগড়ায় বন্ধুরা।

ঘটনার চারদিনের মাথায় রবিবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ ফেয়ারলি ঘাটে একটি দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় মানুষজন। খবর দেওয়া হয় উত্তর বন্দর থানায়।

দেহ উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেলে সেখানে আসেন পরিবারের লোকেরা। দেহটি রৌনকেরই বলে সনাক্ত করেন বাবা।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো নাগাদ চার বন্ধু- স্মিতেন্দু দাস, অনুরাগ রায়, দেবারতী মজুমদার ও শ্রদ্ধা দে-র সঙ্গে দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকার পানিঘাটে যান রৌণক। পুলিশের দাবি, বন্ধুরা জানিয়েছেন, মাঝ গঙ্গায় গিয়ে একটি বার্জের গায়ে নৌকা লাগান মাঝি শেখ সইফুদ্দিন। তারপর নৌকা ছেড়ে অন্য বার্জে উঠে অন্য মাঝির সঙ্গে গল্প করতে শুরু করেন তিনি। অনেকক্ষণ না আসায় মাঝিকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। বার্জে ওঠার চেষ্টা করতে গিয়ে পা পিছলে নৌকা ও বার্জের মাঝখানে জলে পড়ে যান রৌনক।

যদিও অন্য দাবি করেছেন মাঝি। পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি বলেছেন,  নৌকার মধ্যে ৩টি ছেলে ও ২টি মেয়ের ধাক্কাধাক্কি হচ্ছিল। তখনই একজন জলে পড়ে যান।

মাঝ গঙ্গায় ঠিক কী ঘটেছিল তা নিয়ে যেমন এখনও রহস্য, তেমনই প্রশ্নের মুখে বন্ধুদের ভূমিকা। অভিযুক্ত বন্ধুদের বাড়ির লোকেদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে রৌনকের পরিবার। শুধু তাই নয়, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকাও।

ঘটনায় নৌকার মাঝিকে আগেই গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, খতয়ে দেখা হচ্ছে বন্ধুদের ভূমিকা।