কলকাতা: কাবুলের সেই দিনগুলি এখন অতীত। কিন্তু বর্তমানের প্রতিটি মুহূর্তকে গিলে খাচ্ছে সেই সব স্মৃতি। সোমবার সারাদিন বাড়িতেই ছিলেন। কিন্তু বাড়ির লোক ছাড়া কথা বলেননি কারও সঙ্গে। দাদা জেরম ডি’সুজা জানিয়েছেন, এখনও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেনি বোন।


তিনি বলেছেন,  একটা ঘরে ওকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। ঘরে সবসময় জানলা বন্ধ করে থাকত। শৌচাগারও ছিল না সেভাবে। ওকে ঠিকমতো খেতেও দেওয়া হয়নি।

রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরেছে মেয়ে। মেয়ের পছন্দ মতো খাবার বানাতে রান্নাঘরে ব্যস্ত মা। সোমবার দুপুরে মায়ের হাতের চিকেন কারি দিয়ে জুডিথ সেরেছেন দুপুরের খাওয়া।তারপর ঘুম।

জেরম ডি’সুজা জানিয়েছেন, ওকে চিকিৎসকরা তিন মাস বিশ্রামের নির্দেশ দিয়েছেন। ও বাড়িতেই বিশ্রাম নেবে। আতঙ্ক এত সহজে যায় না। আস্তে আস্তে কমে।

৪৪ দিন কথা হয়নি বাড়ির কারও সঙ্গে। আতঙ্কের সেই পরিবেশে ঠিক মতো খাওয়াও জোটেনি।

এন্টালির বাড়িতে বসেও তাড়া করে বেড়াচ্ছে সুদূর কাবুলের সেই আতঙ্ক।

ঘুমের মধ্যেও আতঙ্কে চমকে উঠছেন জুডিথ ডি’সুজা।