কলকাতা: সব ঠিকঠাক চললে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই কলকাতা মেট্রোরেলে চালু হতে চলেছে স্মার্ট ডিজিটাল টিকিট সিস্টেম।  যেখানে বর্তমানে স্মার্ট কার্ডের মতো মোবাইল ফোন গেটে সোয়াইপ করালেই তা খুলে যাবে! এমনটাই জানা গিয়েছে।


কেমনভাবে কাজ করবে এই নতুন সিস্টেম? কলকাতা মেট্রো রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রথমে মোবাইল ফোনে মেট্রোরেলের অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। এরপর অনলাইনে টিকিট কিনতে হবে। টিকিট কিনলেই, সংশ্লিষ্ট ফোনে একটি কুইক রেসপন্স (কিউআর) কোড পাঠানো হবে।


আধিকারিকরা জানান, এটিই হবে, ওই যাত্রীর নম্বর। অর্থাৎ, ঠিক ডিজিটাল ওয়ালেটে ব্যবহৃত কিউআর কোডের মত, এক্ষেত্রেও, এই কোডের মাধ্যমে লেনদেন হবে। সফরের সময়ে, প্ল্যাটফর্মের স্মার্ট গেটে ওই কোড সামনে ধরতে হবে।



জানা গিয়েছে, গেটে থাকা সেন্সর ওই কোড চিনে নেবে এবং গেট খুলে যাবে। বেরনোর সময়ও ঠিক একইভাবে মোবাইল ফোনে থাকা কোডটি গেটের সামনে আনলে ফের একজিট বা বাইরে বেরনোর গেট খুলে যাবে।


মেট্রোরেল সূত্রে খবর, মেট্রোরেলের সদর দফতরে এই নতুন ব্যবস্থার পরীক্ষা সফলভাবে হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রেল বোর্ডের সদস্য (ট্রাফিক) মহম্মদ জামশেদ এবং জেনারেল ম্যানেজার এম সি চৌহ্বান।


জানা গিয়েছে, নতুন সিস্টেমের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে চলছে। গোটা সিস্টেমটি তৈরি করেছে সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম (ক্রিস)। মেট্রোরেলের আশা, আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই এই আধুনিক সিস্টেম চালু হয়ে যাবে।


ক্রিসের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই সিস্টেমকে কার্যকর করার জন্য এখন বর্তমান স্মার্ট গেটগুলিতে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার পরিবর্তন করা হচ্ছে, যাতে মোবাইল কিউআর কোড তা চিনতে পারে।



তিনি আরও জানান, রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু চাইছেন না, বুকিং কাউন্টারগুলিতে মানুষ পাঁচ মিনিটি কাটান। তাই, যে সকল মানুষ বর্তমানে কাউন্টার থেকে টিকিট কেনেন, তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এই বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।


তাঁর মতে, মেট্রোরেলের মত শহুরে যানবাহনের ক্ষেত্রে এই নতুন ব্যবস্থা বেশি কার্যকর কারণ, এখানে বেশিরভাগ মানুষ স্মার্টফোন ও অ্যাপ ব্যবহারের সঙ্গে ভালভাবে অবগত।


ওই আধিকারিক জানান, ইতিমধ্যেই অ্যাপের মাধ্যমে রেলের সংরক্ষিত টিকিট কাটা যায়। এখন তা অসংরক্ষিত টিকিটের ক্ষেত্রেও প্রসারিত করা হয়েছে। তিনি যোগ করেন, মেট্রোরেলের ক্ষেত্রে অবশ্য সিস্টেম বেশি জটিল। কারণ, এখানে জায়গা কম।