অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: উদ্বোধনের পথে নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে মেট্রো লাইন। শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে তারই চূড়ান্ত ট্রায়াল। নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনও নতুন মেট্রো লাইন অথবা অন্য কোনও লাইনের সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে তার চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। উল্লিখিত পদে রেলওয়ে শব্দের প্রয়োগ থাকলেও আদতে এই পদটি অসামরিক বিমান মন্ত্রকের আওতাধীন। ফলে কমিশনার অফ রেলওয়ের সেফটির নিরপেক্ষ ছাড়পত্রর ভিত্তিতেই চালু করা যায় নতুন যাত্রাপথ।
নোয়াপাড়া দক্ষিণেশ্বর মেট্রোপথের চূড়ান্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি শৈলেশ কুমার পাঠক। শুক্র ও শনিবার চলবে তার পর্যবেক্ষণ।
মেট্রো সূত্রে খবর, কোনও চালু রুটের সম্প্রসারণ পরীক্ষা করে দেখে রিপোর্ট দেওয়ার সময় সচরাচর কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি খুব বেশি সময় নেন না। নতুন স্টেশন ও সম্প্রসারিত লাইন খতিয়ে দেখার পর বড়সড় কোনও পর্যবেক্ষণ না থাকলে শর্তসাপেক্ষে দ্রুত অনুমতি দিয়ে দেওয়া হয়। নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো লাইন আদতে নিউ গড়িয়া-নোয়াপাড়ার সম্প্রসারণ। ফলে এক্ষেত্রেও দ্রুত অনুমতি মেলার আশায় রয়েছেন রেলকর্তারা।
প্রসঙ্গত ২০১০-১১ আর্থিক বর্ষে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এই প্রকল্পের ঘোষণা করেন। চার কিলোমিটার এই লাইনে থাকছে দুটি স্টেশন, বরাহনগর এবং দক্ষিণেশ্বর। রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শুরু করলেও জমি জটে বারবার থমকায় প্রকল্পের কাজ। অবশেষে চালু হওয়ার মুখে নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বরের এই সম্প্রসারিত রেলপথ।
২০২০ সালের শুরু থেকে টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হয়। এখনও যানজট ওই এলাকার মানুষের নিত্যসঙ্গী। এই মেট্রো চালু হলে তা কিছুটা মিটবে বলেই অনেকের ধারণা। মেট্রো সূত্রের খবর, যাত্রীদের দাবি মেনেই দ্রুত কাজ শেষ করা হয়েছে। কারণ এখনই এই চার কিলোমিটার পথের সূচনা না হলে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গেলে ফের আটকে যেতে পারে এই অংশের উদ্বোধন। ইতিমধ্যেই কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি আসার আগে চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণ করেছেন মেট্রোরেলের জেনারেল ম্যানেজার মনোজ জোশী সহ মেট্রো ও রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেডের উচ্চপদস্থ কর্তারা। কর্তাদের আশা, সিআরএসের রিপোর্ট দ্রুত হাতে পেলেই চালু করা যাবে নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো।