তাপমাত্রা গতকাল সামান্য কম হলেও, আজ ফের পারদ উর্ধমুখী। গতকালের থেকে তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় দু’ডিগ্রি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও বেড়েছে প্রায় ৩ ডিগ্রির মতো। সব মিলিয়ে গরমে হাঁসফাঁস শহর। বাতাসে আর্দ্রতা হঠাৎ কমে গিয়েই এই বিপত্তি। ওড়িশায় তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে শুক্রবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের আকাশে কিছুটা মেঘ ছিল। কিন্তু সেই মেঘ সরতেই শনিবার সকাল থেকে চড়া রোদ। শুক্রবারের চেয়ে আজকের তাপমাত্রা অনেকটা বেশি থাকার পূর্বাভাস।
আবহাওয়া দফতর বলছে, ঝাড়খণ্ড থেকে শুকনো এবং গরম হাওয়া এ বার খুব বেশি ঢুকেছে বাংলায়। অন্যান্য বছর এই হাওয়ার প্রভাব বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম এবং বর্ধমানে সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু এ বছর ঝাড়খণ্ড থেকে আসা এই শুকনো গরম হাওয়ার পরিমাণ এত বেশি যে তা ঢুকে পড়েছে হাওড়া, হুগলি, কলকাতা এবং দুই ২৪ পরগনাতেও। এই শুকনো হাওয়ার দাপটে বঙ্গোপসাগর থেকে আসা দখিনা বাতাস ঢুকতে পারছে না গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। ফলে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া ক্রমশ আর্দ্রতা হারাচ্ছে এবং এই হাঁসফাঁস পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
এদিকে, তীব্র গরমে পড়ুয়াদের সমস্যার কথা চিন্তা করে সোমবার থেকে রাজ্যের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সমস্ত সরকারি স্কুলে ছুটি ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর। বেসরকারি স্কুলগুলিকেও ছুটি দেওয়ার আবেদন। এ বিষয়ে স্কুলশিক্ষা দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।