কৃষ্ণেন্দু অধিকারী,কলকাতা: আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে নবম থেকে দ্বাদশের ক্লাস। স্কুলে স্কুলে শুরু হয়েছে ক্লাসরুম স্যানিটাইজেশন। সরকার জানিয়েছে, এক সঙ্গে সবাইকে নয়, ধাপে ধাপে ক্লাসে আনতে হবে পড়ুয়াদের। ২-১ দিনের মধ্যেই জারি হচ্ছে বিজ্ঞপ্তি। স্কুল মানেই গমগমে ক্লাস....! সহপাঠীদের সঙ্গে খুনসুনটি। ভাগ করে টিফিন খাওয়া... । করোনা আবহে দীর্ঘদিন উধাও এই ছবি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে স্কুল খুলছে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। ১১ মাস পর স্কুলে ফিরছে নবম থেকে দ্বাদশের প্রায় ৪০ লক্ষ পড়ুয়া। এতদিন পর ক্লাস শুরুর সরকারি সিদ্ধান্তে তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে স্কুলগুলিতে। কোভিড বিধি মেনে কীভাবে পড়ুয়াদের ক্লাস করানো যায়, তা নিয়ে বৈঠক শুরু হয়ে গিয়েছে স্কুলে স্কুলে। পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের স্বার্থে শুরু হয়ে গেছে ক্লাসরুম জীবাণুমুক্ত করা।


বালিগঞ্জ শিক্ষা সদন প্রিন্সিপাল সুনীতা সেনের কথায়, ‘‘আমাদের পড়ুয়ারা আসবে.... কীভাবে স্যানিটাইজেশন করা হবে.... থার্মাল চেক করা হবে, সব কিছুই সরকারি বিজ্ঞপ্তি মেনে হবে ৷’’ কিন্তু এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের সুস্থ রেখে সশরীরে পঠনপাঠন কীভাবে সম্ভব? বালিগঞ্জ শিক্ষা সদনেরই ভাইস প্রিন্সিপাল সুদেষ্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘পড়ুয়াদের আলাদা করে বলব, আলাদা করে বসাব ৷’’



জুন মাসে ২০২১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক। যারা মাধ্যমিক দেবে, তাদের স্কুলে ক্লাস হয়েছে মেরেকেটে আড়াই মাস। যারা উচ্চমাধ্যমিক দেবে, তাদের সশরীরে একদিনও ক্লাস হয়নি। ১২ তারিখ থেকে স্কুল খুললেও একদিনে একসঙ্গে সব পড়ুয়াকে যে স্কুলে আনতে চায় না সরকার, তা এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘আমরা স্কুল খুলছি ৷ গাইডলাইন দেওয়া হবে ৷ সবাইকে একসঙ্গে আনা যায় কিনা ভাবছি ? বিজ্ঞপ্তি জারি হবে৷ স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই সব কিছু করা হবে ৷’’


এর আগে কেরল, মুম্বই, তামিলনাড়ু, ব্যাঙ্গালোরে স্কুল-কলেজ খোলা হলেও করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১০ মাস পর খুলেছে দিল্লি সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের স্কুল। এই প্রেক্ষিতে ১১ মাস পর ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল খুলছে এরাজ্যে। স্কুল খুললেও অভিভাবক, স্কুলে পড়ুয়া থেকে শিক্ষকদের কী করনীয় এবং কী করণীয় নয়, স্বাস্থ্য বিধিতে তা স্পষ্ট করে দিচ্ছে সরকার।