প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে সেপ্টেম্বরের সাপ্তাহিক পূর্ণ লকডাউনের দিন ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আগামী মাসের ৭, ১১ ও ১২ তারিখে রাজ্যে পূর্ণ লকডাউন হবে। এরপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে আনলক ৪ নিয়ে নতুন গাইডলাইন প্রকাশিত হয়। যেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়, সংক্রমিত এলাকা ছাড়া রাজ্যের আর কোথাও লকডাউন করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে। স্বতন্ত্রভাবে লকডাউন করতে হলে রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ভাবেই লকডাউন নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যে নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়।
এখন প্রশ্ন, রাজ্য কি কেন্দ্রের অনুমতি নিয়েই সেপ্টম্বরের লকডাউন বলবৎ করার দিকে অগ্রসর হল? রাজ্য সরকার কর্তৃক জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে আলাদা করে তার উল্লেখ না থাকলেও এবিপি আনন্দকে রাজ্যে মুখ্য সচিব জানিয়েছেন, যাবতীয় প্রোটোকল মেনেই রাজ্য লকডাউন ঘোষণা করছে। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার যে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলেই সেপ্টেম্বরের ৭, ১১, ১২ তারিখে লকডাউন কার্যকর করতে চলেছে, তা স্পষ্ট হয়ে গেল।
অর্থাৎ, পূর্ব ঘোষণা মতো ৭, ১১, ১২ সেপ্টেম্বর রাজ্যে লকডাউন হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কনটেনমেন্ট জোনে লকডাউন বহাল থাকবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। পুরো সেপ্টেম্বর বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্ধ থাকবে সিনেমা হল, সুইমিং পুল, বিনোদন পার্ক। অনুমতি নিয়ে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে খোলা হবে ওপেন এয়ার থিয়েটার।
৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ
- স্কুল
- কলেজ
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- সিনেমা হল
- সুইমিং পুল
- বিনোদন পার্ক
উল্লেখ্য, ৮ সেপ্টেম্বর থেকে কলকাতায় মেট্রো চলবে। এখন অপেক্ষা স্রেফ কেন্দ্রের এসওপি-র। কেন্দ্রের নির্দেশিকা পাওয়ার পর রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।