কলকাতা: কখনও রাজস্থানে পহেলু খান। কখনও ঝাড়খণ্ডে আলিমুদ্দিন। কিংবা বিজেপি শাসিত আরেক রাজ্য হরিয়ানায় জুনেইদ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাণ্ডব চালাচ্ছে স্বঘোষিত গোরক্ষকরা। মানুষ খুন করছে। এই ইস্যুতে মোদী সরকারকে সংসদের মধ্যে চেপে ধরেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, মোদী সরকার আসার পর থেকেই স্বঘোষিত গোরক্ষকদের এমন দাপাদাপি। নরেন্দ্র মোদী বলছেন, গোরক্ষকদের তাণ্ডব রুখতে রাজ্য সরকারকে কড়া হতে হবে। কারণ, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যেরই বিষয়। কিন্তু এভাবে রাজ্যের কোর্টে বল ঠেলেই যে তিনি দায় এড়াতে পারেন না, তা ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে ফের স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূল নেত্রী এদিন বলেছেন, গোরক্ষকদের নামে গোরাক্ষস তৈরি করা হয়েছে। সবাইকে মারছে। কাউকে বলছে মাংস খাবে না, কাউকে বলছে ডিম খাবে না। মানুষ খাবে কী? তোমাদের ভাষণ খাবে?

মমতাকে পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি বিজেপি। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, আমরা গোরক্ষার পক্ষে এবং আইনশৃঙ্খলার পক্ষে। গোভক্ষক এবং গোরক্ষকদের লড়াই।

বিরোধীরা অনেক দিন ধরেই অভিযোগ করছে, মোদী সরকার নানা আছিলায় বিরুদ্ধ স্বরকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। রেহাই পাচ্ছেন না নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেনও। তাঁকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্রেও পড়েছে সেন্সরের কোপ। এ দিন একুশ জুলাইয়ের মঞ্চে এই প্রসঙ্গকে হাতিয়ার করেই মোদী সরকারকে আক্রমণ করেন মমতা। তিনি বলেছেন, আমাদের এখানে সবাই নিরাপদ। আর দিল্লির রক্তচক্ষুতে অমর্ত্য সেনও নিরাপদ নন। আমাদের এখানে সংখ্যালঘু নিরাপদ। তপশিলী জাতি, উপজাতি নিরাপদ।

পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। দিলীপ বলেছেন, উনি বলছেন এখানে সবাই নিরাপদ। আর আদিবাসী মহিলাদের ধর্ষণ হচ্ছে।

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপি। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, পঞ্চায়েত ভোট যত কাছে আসবে, ততই তৃণমূল-বিজেপির এই তুতু ম্যায় ম্যায় বাড়বে।