কলকাতা: ২০১৯ সালে ফাইনাল। লোকসভা নির্বাচন। তার ঠিক আগের বছর রাজ্যে সেমিফাইনাল। পঞ্চায়েত ভোট। শুক্রবার, একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে সেই গ্রামের ভোটের ঘণ্টা বাজিয়ে দিলেন তৃণমূলনেত্রী। বেঁধে দিলেন টার্গেট। বললেন, আগামী বছর পঞ্চায়েতে জিতে আসবেন তো? ১০০ শতাংশ গ্রামে জিতে আসার চেষ্টা করবেন।

তৃণমূলনেত্রীর স্বপ্ন পঞ্চায়েতে একশোয় একশো। যা নিয়ে কটাক্ষের সুর বিরোধীদের গলায়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, ১০০য় একশো বলে দিয়েছেন। এবার বিরোধী শূন্য করতে মস্তান বাহিনী নেমে পড়বে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, পঞ্চায়েত ভোট তো অনেক দেরি আছে। দেখুন কী হয়। আবার সভা হয় কি না। তৃণমূলের কজন থাকে।

পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, শেষ বিধানসভা ভোটের ফলেই স্পষ্ট, গ্রাম বাংলার ভোটব্যাঙ্কের একটা বড় অংশই মমতার পাশে। কিন্তু, সেখানেও কোথাও কোথাও কাঁটা হয়ে আছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ। তার জেরে যাতে কোনও আসন হাতছাড়া না হয় তার জন্য মমতার গলায় সতর্কবার্তা।

মুখ্যমন্ত্রীর সাধের কন্যাশ্রী প্রকল্প সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বীকৃতি পেয়েছে। এ দিনের সমাবেশ থেকে তৃণমূলনেত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, এরকমই নানা সামাজিক প্রকল্পকেই তিনি পঞ্চায়েত ভোটের ট্রাম্প কার্ড করতে চান। দিলীপ অবশ্য দাবি করেছেন, মানুষ তৃণমূলের উপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে গিয়েছে। বসিরহাটে ওদের বিধায়ক মার খাচ্ছে। পাহাড়ে তৃণমূলের প্রতিনিধি যেতে পারছে না। চোপড়ায় স্থানীয় মানুষ তৃণমূলকে মেরেছে।

বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে। আর গ্রাম বাংলাই বাংলার প্রাণ। তাই পঞ্চায়েত ভোটে যে দল ভাল ফল করবে, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে সে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে। আর তাই ঝাঁপাতে চাইছে সবাই।