কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল একাই ২১১টি আসন পেয়েছে। কিন্তু, তারপরেও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন, আরও ১১টি আসনে তৃণমূল জেতার অবস্থায় ছিল। কিন্তু, অন্তর্ঘাতের কারণে তা হয়নি। এ নিয়ে তিনি যে কড়া অবস্থান নিচ্ছেন, বুধবার, কালীঘাটের বৈঠকে সেটাই স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূলনেত্রী। পাশাপাশি দল এবং ছাত্র সংগঠনেও রদবদল করা হল।


অন্তর্ঘাতের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মমতা গড়ে দিলেন আট সদস্যের কমিটি। এই কমিটিতে আছেন সুব্রত বক্সী, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মুকুল রায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাসরা। এই কমিটি অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দেবে কালীঘাটে।

সূত্রের খবর, যে ১১টি আসনে অন্তর্ঘাতের কারণে হারতে হয়েছে বলে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করে, তার মধ্যে রয়েছে নদিয়ার রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম এবং রানাঘাট দক্ষিণ।

এই দুই আসনে হারের জেরে নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদ থেকে বাণী রায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় আনা হল দীপক বসুকে। শুধু তাই নয়, নদিয়ার দলের পর্যবেক্ষকও বদল করেছেন মমতা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

অন্তর্ঘাতের কারণে নানুরেও হার হয়েছে বলে মনে করে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। সেখানে গদাধর হাজরার পথে তৃণমূলেরই কাজল শেখ বড় কাঁটা হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এই প্রেক্ষপটে, গদাধর হাজরাকে বীরভূমের যুব তৃণমূলের সভাপতি করা হল। যা কাজল শেখকে ঘুরিয়ে বার্তা বলে মনে করছেন অনেকে।

মালদায় এবার একটিও আসন পায়নি তৃণমূল। সেখানকার তৃণমূলের কোর কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনেও বদল এনেছেন। অশোক রুদ্রের জায়গায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি করা হয়েছে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী, উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা জয়া দত্তকে।

শুক্রবার, শপথগ্রহণ। তার আগে এ দিনের বৈঠকে মন্ত্রিত্ব নিয়েও বার্তা দেন তৃণমূলনেত্রী। সূত্রের খবর, বৈঠকে তিনি বলেন, ২১১ জন বিধায়ককে তো মন্ত্রী করা যাবে না! ৪৪ জনের মন্ত্রিসভায় সব জেলা এবং সব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। মন্ত্রী হতে না পারলে মন খারাপ করবেন না। সবাইকে দলের জন্য কাজ করতে হবে।