দেবাশিস বড়াল যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) ছিলেন। তাঁকে পাঠানো হল কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে। নগেন্দ্র ত্রিপাঠি ছিলেন ডিসি-ডিডি (২)। তাঁকেও কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হল।
কলকাতায় ভোট পরিচালনায় এই দু’জনের ভূমিকাই নানা মহলে বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছিল। যদিও, ভোটে পুলিশের একাংশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ভোটের ফল ঘোষণার পর প্রথমে সৌমেন মিত্রকে পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরানো হয়। তারপর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ভোটের সময় অপসারিত পুলিশ সুপারদের পুরনো পদে ফিরিয়ে আনা হয়।
একইসঙ্গে কলকাতার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন আইপিএস অফিসারকে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হয়। তারমধ্যে ছিলেন দেবজ্যোতি দে। ডিসি (ইএসডি) পদ থেকে তাঁকে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হয়। সন্তোষ পাণ্ডে ছিলেন ডিসি (এসএসডি)। তাঁকেও কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হয়। ডিসি (সাউথ ইস্ট) সুমনজিৎ রায়কেও পাঠানো হয় কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে। রশিদ মুনির খান দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার ছিলেন। তাঁকেও কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হয়।
এবার কলকাতা পুলিশের আরও দুই পদস্থ কর্তাকেও কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হল।
এদিকে, একইসঙ্গে এদিন ৮ আইএএসের পদে রদবদল আনে সরকার। সি এম বাচওয়াত ছিলেন অতিরিক্ত প্রধান সচিব, ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড হর্টিকালচার। তিনি হলেন অতিরিক্ত প্রধান সচিব , ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। বি পি গোপালিকা ছিলেন প্রধান সচিব, মিউনিসিপ্যাল অ্যাফেয়ার্স।
হলেন প্রধান সচিব, ফুড প্রসেসিং অ্যান্ট হর্টিকালচার। সুব্রত বিশ্বাস ছিলেন প্রধান সচিব, হাউসিং দফতর। হলেন প্রধান সচিব- সমবায় দফতর। সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ ছিলেন এমডি, ন্যাশনাল হেলথ মিশন। হলেন সেক্রেটারি- উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতর। ওঙ্কারসিং মিনা ছিলেন সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর। হলেন সচিব, মিউনিসিপ্যাল অ্যাফেয়ার্স। পৃথা সরকার ছিলেন - জলপাইগুড়ির জেলাশাসক। হলেন অতিরিক্ত সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ। সঞ্জয় বনশল ছিলেন- যুগ্ম সচিব - কর্মি বর্গ ও প্রশাসনিক দফতর। হলেন হুগলির জেলাশাসক।
এর মধ্যে ৫ জন আইএএসের গতকালই দফতর বদল হয়েছিল। আজ তাঁদের ফের দফতর বদল হয়। এই ৫ জন হলেন - বি পি গোপালিকা, সুব্রত বিশ্বাস, ওঙ্কারসিং মিনা, পৃথা সরকার, সঞ্জয় বনশল।