কলকাতা: সল্টলেকে উবের-ক্যাবে তরুণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগের প্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসল রাজ্য সরকার। উবের কর্তৃপক্ষকে শো-কজ করেছে পরিবরণ দফতর। বলা হয়েছে, শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়ার পর কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা সাতদিনের মধ্যে সরকারকে জানাতে হবে।
ওলা, উবেরের মতো অ্যাপ নির্ভর ক্যাব পরিষেবাকে সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক আগেই অবশ্য উদ্যোগী হয়েছিল প্রশাসন। গত বছরের ডিসেম্বরে, ১৯৮৮ সালের মোটর ভেহিক্যালস আইনের ৯৩ নম্বর ধারায় একটি নীতি তৈরি করে রাজ্য সরকার। অ্যাপ নির্ভর ক্যাব সংস্থাগুলির কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়ে সরকার জানিয়ে দেয়, প্রতিটি গাড়িতে রিয়েল টাইম জিপিএস রাখতে হবে। যাতে সবসময় গাড়ির সঠিক অবস্থান জানা যায়।
গাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে। রাখতে হবে তথ্য মজুতের ব্যবস্থা। যাতে চাইলেই সেই তথ্য পাওয়া যায়। স্পষ্টভাবে যাত্রীর কাছে চালক ও গাড়ি সংক্রান্ত তথ্য পাঠাতে হবে। কোনওভাবেই যাত্রী প্রত্যাখ্যান করা যাবে না। চালক যাত্রীর সঙ্গে অশালীন ভাষায় কথা বলতে পারবেন না। যাত্রীকে হেনস্থা করা যাবে না। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ বৈষম্য কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না। প্রতিবন্ধী যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো যাবে না।
সংস্থাগুলিকে জানানো হয়, এ বছরের ষোলোই সেপ্টেম্বরের মধ্যে এইসব নিয়ম মানলে তবেই মিলবে স্থায়ী লাইসেন্স। কিন্তু এর মাঝে, বিক্ষিপ্তভাবে বেশ কিছু ঘটনা সামনে আসতে থাকে। তালিকায় সর্বশেষ সংজোজন সল্টলেকে মহিলা যাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ! যার প্রেক্ষিতে, উবের কর্তৃপক্ষকে শো-কজ করা হয়েছে। গত বছর পাঠানো নির্দেশিকা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানতে ওলা, মেরু-মতো সংস্থাগুলিকেও নোটিস পাঠিয়েছে সরকার। যদিও এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হয়নি কলকাতার প্রথম সারির দুই অ্যাপ নির্ভর ক্যাব সংস্থা, উবের এবং ওলা।