অনুপস্থিত দীনেশ, সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে শৃঙ্খলা রক্ষায় কড়া বার্তা মমতার
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 25 May 2016 02:14 PM (IST)
কলকাতা: দলের সব সাংসদদের নিয়ে কালীঘাটে বৈঠক করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন একমাত্র দীনেশ ত্রিবেদী। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে ব্যারাকপুরের সাংসদকে আসতে বারণ করা হয়। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রণ করা হয়নি দীনেশকে। দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় এদিন কড়া বার্তা দেন নেত্রী। সব্যসাচী দত্ত এবং কাকলি ঘোষদস্তিদারের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, গোলমাল বন্ধ করো। না হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিধানসভা ভোটে বিপুল জয়। এর মধ্যেই ২০১৮’র পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে সংগঠনকে যে আরও শক্তিশালী করতে চান, তা বুধবার কালীঘাটের বৈঠক থেকে নানাভাবে বুঝিয়ে দিলেন মমতা। কখনও অন্তর্ঘাত ঠেকাতে গড়ে দিলেন কমিটি। কখনও আবার দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে দিলেন কড়া বার্তা। দলের সব সাংসদ, কয়েকজন বিধায়ক, কয়েকজন পরাজিত প্রার্থী এবং কয়েকটি জেলার সভাপতিদের নিয়ে এ দিন বৈঠক করেন তৃণমূলনেত্রী। বৈঠকে তৃণমূলের সব সাংসদই ছিলেন। অনুপস্থিত একমাত্র দীনেশ ত্রিবেদী। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে ব্যারাকপুরের সাংসদকে আসতে বারণ করা হয়। ভোটের সময়, নাম না করে নারদ-সহ একাধিক ইস্যুতে সরব হন দীনেশ। যা দলের অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে। এই প্রেক্ষাপটে, ভোটের ফল বেরনোর পরের দিনই দীনেশকে বার্তা দেন মমতা। নাম না করে বলেন, যুদ্ধের সময় যে সৈনিক পাশে থাকেন না, তিনি সাংসদ হোন কিংবা যেই হোন, পার পাবেন না। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, দীনেশকে এ দিনের বৈঠকে আসতে বারণ করার মধ্যে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে যে কড়া অবস্থান নিচ্ছেন, সেই বার্তাই দলের সর্বস্তরে এ দিন পৌঁছে দিলেন দলনেত্রী। দীনেশের মুখ খোলা যেমন তৃণমূলকে অস্বস্তি ফেলেছে, তেমনই বার বার তাদের অস্বস্তি বাড়িয়েছে নিউটাউনে দলের গোষ্ঠীকোন্দল। যেখানে অভিযোগের আঙুল উঠেছে সব্যসাচী এবং কাকলির অনুগামীদের দিকে। দু’জনকেই এ দিন সতর্ক করে দেন মমতা। ১৮ জুন, নেতাজি ইন্ডোরে হবে তৃণমূলের কর্মশালা। সেখানে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে সর্বস্তরের দলীয় নেতা-কর্মীদের ডাকা হয়েছে।