বাংলা ভাষায় নিজের বক্তব্য শুরু করেন রাষ্ট্রপতি। বলেন, আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি। এদিনের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতিকে নিজের আঁকা ছবি উপহার দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ছবি দেখে রীতিমতো আপ্লুত কোবিন্দ। বললেন, এই ছবি রাষ্ট্রপতি ভবনে রাখা থাকবে। থাকবে আমার হৃদয়ে চিরদিন। মুখ্যমন্ত্রীও রাষ্ট্রপতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বলেন, উনি আসায় বাংলা সম্মানিত। কামনা করি এমন সাধারণ মানুষ হয়েই থাকুন।
এদিন বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলার সাফল্যের কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি। বলেন, আবার আসতে চাই মিষ্টি-আড্ডা-ফুটবলের এই শহরে। বলেন, জাতীয় সঙ্গীত থেকে জাতীয় গান, সবই বাংলার। বহু তারকার জন্ম বাংলায়। ভোলা যায় উত্তমকুমারকে? আবার আসতে চাই মিষ্টি-আড্ডা-ফুটবলের শহরে।
দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি এদিন জানান, ২০২২ সালে উন্নততর ভারত গঠনে বাংলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। বলেন, শক্তিশালী ভারত গঠনে বাংলা বিশেষ ভূমিকা নেবে।
দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে, রাষ্ট্রপতির পদ যে সব কিছুর ঊর্ধ্বে, সেই সুরও শোনা যায় মমতার গলায়। বলেন, রাষ্ট্রপতি রাজনীতির ঊর্ধ্বে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য।
ভবিষ্যতের বাংলা যাতে তার অতীত গৌরব ধরে রাখতে পারে, এদিন বার বার সে কথাই শোনা গিয়েছে রাষ্ট্রপতির ভাষণে। বলেন, ভবিষ্যতে বাংলা হবে ভারতের সমৃদ্ধ রাজ্যগুলির অন্যতম।
শুধু রাজ্য সরকারই নয়, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পক্ষ থেকেও এদিন সম্পর্ধনা দেওয়া হয় রামনাথ কোবিন্দকে।