কলকাতা: অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধরের জেরে গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। দাদা হিসেবে বোনের এই অবস্থা মেনে নিতে পারেনি ভাই। সেই আক্রোশেই শ্যালকের হাতে খুন খড়দার যুবক। প্রাথমিক তদন্তে এমনই অনুমান পুলিশের।


তদন্তকারীদের দাবি, খুনের নেপথ্যে প্রতিশোধস্পৃহা!  যা চরিতার্থ করতে গিয়ে জামাইবাবুকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিল শ্যালক! শুনতে সিনেমার মতো হলেও এমনটাই ঘটেছে বাস্তবে।


পুলিশ সূত্রে খবর,  বছর খানেক আগে এক নাবালিকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে খড়দার বাসিন্দা এক যুবকের। ধীরে ধীরে পরিণতি পায় সেই সম্পর্ক। পটনায় পালিয়ে গিয়ে পরিবারের অমতে বিয়ে। ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করতেন যুবক। মাসে সামান্য কিছু আয়। তার ওপর পাত্রী নাবালিকা। প্রথমে তাই দুই পরিবারই বিয়েতে রাজি ছিল না। কিন্তু, শেষমেষ চারহাত এক হয়ে যাওয়ায়, কিছুটা হলেও পরিস্থিতির পাল্টায়। পুলিশ সূত্রে খবর, খড়দায় মেয়ে-জামাইয়ের জন্য বাড়ি ভাড়া করে দেন মেয়ের মা। তারপর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে নাবালিকা। অভিযোগ, যুবকের তেমন রোজগার না থাকায় খোঁটা দিত স্ত্রী। পাল্টা যুবকও স্ত্রীকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত শ্যালক জানিয়েছে, মারধরের জেরে বোনের গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, নিজের স্ত্রীকে নিয়ে ওই যুবক অশালীন মন্তব্য করতেন বলেও অভিযোগ।


মাস পাঁচেক আগে বাপের বাড়ি চলে আসে নাবালিকা। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় ধৃত শ্যালকের স্বীকারোক্তি, জামাইবাবুর আচরণ মানতে পারেনি সে। তাই প্রতিশোধ নিতে এই খুন।


প্রতিশোধস্পৃহায় শেষ একটা জীবন। কিন্তু, সত্যিই কি স্বামীর মারধরের জেরে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল স্ত্রীর গর্ভস্থ সন্তান? ধৃত শ্যালকের দাবি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।