কলকাতা: পিএসি চেয়ারম্যানের পদ নিয়ে সরাসরি সংঘাতের পথে মানস ভুঁইয়া। দলের উল্টো পথে হেঁটে গ্রহণ করলেন পদ। কাল পরিষদীয় দলের বৈঠকে যে থাকবেন না, তাও স্পষ্ট করে দিলেন। মানস না থাকলেও বৈঠক হবে। পাল্টা সরব অধীর চৌধুরী।

পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ নিয়ে সরাসরি দলের সঙ্গে সংঘাতের পথে মানস ভুঁইয়া। দল না চাইলেও, পদ গ্রহণ করলেন সবংয়ের বিধায়ক। শুক্রবার, নিয়োগের চিঠি পেয়েই গেলেন অধ্যক্ষের কাছে। চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করে জানিয়ে দিলেন, খুব তাড়াতাড়ি ঠিক করবেন পিএসির প্রথম বৈঠক কবে করা যায়।

এ দিকে, আব্দুল মান্নানকে চিঠি দিয়ে অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, পিএসি চেয়ারম্যান পদটি প্রধান বিরোধী দলের প্রাপ্য। রাজ্যে কংগ্রেস প্রধান বিরোধী দল। কংগ্রেসের তরফে যে চারজনের নাম পাওয়া গিয়েছে, তাঁর মধ্যে মানস ভুঁইয়াই বর্ষীয়ান বিধায়ক। এ সব বিবেচনা করেই তাঁকে পিএসির চেয়ারম্যান পদ দেওয়া হয়েছে।

এই সিদ্ধান্ত অবশ্য কংগ্রেস মানতে নারাজ। শনিবার দুপুরে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠক। মূলত যাঁকে নিয়ে এই বৈঠকে, সেই মানস ভুঁইয়া কি থাকবেন? সবংয়ের বিধায়ক এ দিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, শনিবারের বৈঠকে তিনি থাকছেন না।

জবাব দিয়েছেন অধীর চৌধুরীও। তিনি বলেন, উনি না থাকলেও বৈঠক হবে।

পিএসি বিতর্কের জন্য এ দিন ফের আব্দুল মান্নানকে দায়ী করেন মানস ভুঁইয়া। তাঁর অভিযোগ, পরিষদীয় দলে আলোচনা না করেই সুজন চক্রবর্তীকে পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এবং নেতৃত্বকে ভুল বুঝিয়েছেন মান্নান। এরও পাল্টা জবাব দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।

বৃহস্পতিবার, এবিপি আনন্দর অনুষ্ঠানে এসে এসএমএস ফাঁসের অভিযোগ তুলে ঘুরিয়ে অধীর চৌধুরীকে নিশানা করেন মানস ভুঁইয়া।

মানসের এই অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।

সব মিলিয়ে পিএসি নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে দ্বন্দ্ব তুঙ্গে।