কলকাতা: শনিবার নেতাজিভবন স্টেশনে সাড়ে চার বছরের ছেলেকে নিয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মা।ছেলে প্রাণে বাঁচলেও বাঁচানো যায়নি মা-কে। রবিবার গিরিশপার্ক স্টেশনে আত্মহত্যা করেন সুজয় চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি।দিন দিন বাড়ছে মেট্রোয় আত্মহত্যার ঘটনা।  প্রাণ যাচ্ছে, ব্যাহত হচ্ছে পরিষেবা, ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা। এবার এই প্রবণতা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ মেট্রো কর্তৃপক্ষের


টানেল থেকে স্টেশনে ঢোকার আগেই কমানো হবে ট্রেনের গতি। কেউ লাইনে ঝাঁপ দিলে যাতে এমারজেন্সি ব্রেক কষে গাড়ি দাঁড় করানো যায়।মেট্রো স্টেশনে বাড়ানো হবে রেল পুলিশের নজরদারি।

মেট্রো স্টেশনগুলিতে লাগানো ৬০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা। পার্কস্ট্রিটের মেট্রো ভবন থেকে চলবে সবসময় নজরদারি। কারও সন্দেহজনক গতিবিধি দেখলেই সংশ্লিষ্ট স্টেশনকে সতর্ক করা হবে।

এছাড়াও একটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে মেট্রো রেলওয়ে। নম্বরটি হল- ০৩৩-২২২৬-৪৮১৭। কারও আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা গেলে এই নম্বরে ফোন করে সতর্ক করা যাবে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ।

মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, বৃহস্পতিবারই এই হেল্পলাইনে আসা ফোনের সূত্র ধরে এক মহিলার আত্মহত্যার চেষ্টার রোখা গেছে।

ওই মহিলাকে বাঁচানো গেলেও, শনি ও রবি পরপর দু’দিন মেট্রোয় আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৮৪ সালে চালু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৩১৪টি আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে কলকাতার মেট্রো স্টেশনগুলিতে। এরমধ্যে ১৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাণে বেঁচেছেন ১৫৭ জন।

আত্মহত্যার চেষ্টা রুখতে ইস্টওয়েস্ট মেট্রোর নতুন স্টেশনগুলোতে কাচের অথবা ফাইবারের দেওয়াল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যাতে ট্রেন দাঁড়ানোর আগে লাইনের কাছে কেউ পৌঁছতে না পারেন। কিন্তু সেই পরিকাঠামো তৈরি একদিকে যেমন কঠিন, অন্যদিকে ব্যায়বহুলও।

তাই মেট্রোর এই এই বিকল্প ব্যবস্থা।