কলকাতা: ১৮ জানুয়ারি থেকে মেট্রোয় লাগবে না ই-পাস। শুধু স্মার্ট কার্ডেই চড়া যাবে মেট্রোয়। এখনই টোকেন ব্যবহারের ভাবনা নেই। জানা গিয়েছে মেট্রো রেল সূত্রে।
এর আগে, গত ৪ জানুয়ারি থেকে ই-পাসের নিয়মে কিছুটা শিথিল করা হয়েছিল। অফিসটাইম বাদে অন্য সময় লাগবে না ই-পাস বলে জানানো হয়েছিল মেট্রো রেলের তরফে।
নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহ থেকে কার্যকর হওয়া নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রবীণ নাগরিক, মহিলা ও ১৫ বছরের নীচে মেট্রোযাত্রীদের জন্য সারাদিনই ই-পাসে ছাড় আগের মতোই বহাল রাখা হয়। তবে, সকাল ৯টা থেকে ১১টা ও বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধে ৭ টা পর্যন্ত পুরুষযাত্রীদের ই-পাস বাধ্যতামূলক করা হয়।
এর পাশাপাশি, দিনের বাকি সময়ে ই-পাসে ছাড় দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, শনি ও রবি কারোরই ই-পাস লাগবে না।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ রুখতে ২২শে মার্চ কলকাতায় বন্ধ করে দেওয়া হয় মেট্রো পরিষেবা। ১৭৬ দিন পর, ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ফের গড়াতে শুরু করে মেট্রোর চাকা।
তবে, একগুচ্ছ নিয়মবিধি মেনে কম সংখ্যক ট্রেন চালানো হয়। দুটি ট্রেনের মধ্যে সময়ের ব্যবধানও ছিল বেশি। পরে, ৪ জানুয়ারি থেকে আবার লকডাউন পূর্বের ছন্দে ফেরে মেট্রো।
এদিকে, মেট্রো রেল সূত্রে খবর, এবার মেট্রোর যাত্রীদের জন্য চালু হতে চলেছে কিউ আর কোড নির্ভর টিকিট ব্যবস্থা।
QR code-এর অর্থ Quick Response Code। অসংখ্য ডট দিয়ে তৈরি কোডটি দেখতে চৌকো। মোবাইল ফোনের QR code রিডার দিয়ে সহজে এবং নিরাপদে তথ্য আদানপ্রদান করা যায়।
এবার সেই কোড ব্যবহার করেই চড়া যাবে মেট্রোয়। করোনা আবহে পুরনো টোকেন ব্যবস্থা চালু করছে না মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তাই এই নতুন ব্যবস্থা।
গত সপ্তাহে মেট্রো রেলের তরফে জানানো হয়, সাফল্যের সঙ্গে শেষ হয়েছে নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর রুটের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রান, জানাল কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে নিউ গড়িয়া থেকে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো পরিষেবা চালু করাই লক্ষ্য বলে মেট্রো রেল সূত্রে খবর। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় ট্রায়াল রান। মোট ৪.২ কিলোমিটার পথে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয় মেট্রো।
কলকাতা মেট্রো রেল সূত্রে খবর, প্রকল্পের জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা।