সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা: স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে রাজনীতি ও পরিষদীয় বিষয় সম্পর্কে ধারণা তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। সল্টলেকের এডি ব্লকের লবণহ্রদ বিদ্যাপীঠে আয়োজন করা হয় নকল বিধানসভা অধিবেশনের।


বিধানসভার অধিবেশন। শাসক দলের বিরুদ্ধে নানা বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। পাল্টা, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই থেকে রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরছেন মুখ্যমন্ত্রী। অধিবেশন বিধানসভার মতো হলেও এ ছবি বিধানসভার ভেতরের নয়। রবিবার নকল অধিবেশন বসেছিল সল্টলেকের এডি ব্লকের লবণহ্রদ বিদ্যাপীঠে। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে রাজনীতি ও পরিষদীয় বিষয় সম্পর্কে ধারণা তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। সল্টলেকের রোটারি ক্লাব অফ কলকাতার সহযোগিতায় এই অধিবেশনের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী।

সমাজের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১০ শিশু এই নকল বিধানসভা অধিবেশনে অংশগ্রহণ করে। সামনেই বিধানসভা ভোট।
কিন্তু পরিষদীয় বিষয় সম্পর্কে অনেকেরই অনেক কিছু জানা নেই। এই ধরনের উদ্যোগ বিধানসভার কার্যপ্রণালী সম্পর্কে মানুষের ধারণা বাড়াবে বলেই মত রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের।

অন্যদিকে, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উত্তাপ চড়ছে। আজ হলদিয়ায় এসে সেই উত্তাপ অনেকটাই বাড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘বাংলায় ৫ হাজার কোটির প্রকল্পের সূচনা করব। বাংলার মানুষের প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। সাধারণ মানুষ এই সব প্রকল্পের প্রচুর সুবিধা পাবেন। বাংলার অনেক জেলায় এলপিজি পাইপ লাইনে পৌঁছবে। বাংলায় সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে চা বাগানের শ্রমিকদের অনেক উন্নতি হবে। এক সময় শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলা দিশা দেখাত। কেন বাংলায় উন্নয়নের সেই গতিধারা ধাক্কা খেল? উন্নয়নের সেই ধারা বজায় থাকলে বাংলার ছবি বদলে যেত। আমি জানতে চাই কেন বাংলা এতটা পিছিয়ে পড়ল? বাংলার মানুষ তাই এখন পরিবর্তন চাইছেন।’

মোদি আরও বলেন,  ‘বাংলার দুরাবস্থার কারণ এখানকার সরকার। কংগ্রেসের আমলে দুর্নীতি ছিল। বামেদের আমলেও উন্নয়ন থমকে ছিল। মমতার পরিবর্তনের সওয়ালে ভরসা করেছিলেন অনেকে। কিন্তু মমতার শাসনের দশ বছরে শুধুই নির্মমতা। বাংলায় পরিবর্তন নয়, বাম শাসনের পুনরুজ্জীবন হয়েছে। বাংলায় শুধু অপরাধ, হিংসার পুনরুজ্জীবন হয়েছে।’