কলকাতা:  আমরিতে ঐত্রি দে-র মৃত্যু নিয়ে নয়া তথ্য। শ্বাসকষ্টের সমস্যায় মৃত্যু, উল্লেখ ময়নাতদন্ত রিপোর্টে। কোনও ওষুধে অ্যালার্জি হলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। দাবি ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের।
গত ১৭ জানুয়ারি মুকুন্দপুর আমরি হাসপাতালে মৃত্যু হয় আড়াই বছরের শিশুকন্যা ঐত্রি দে-র। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়া ও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলে শিশুর পরিবার। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করে, শিশুকন্যার হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল।
কিন্তু কলকাতা পুলিশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যাসফিক্সিয়া বা শ্বাসকষ্ট জনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে ঐত্রি দে-র। শিশুকন্যার হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসে হেমারেজিক স্পষ্ট ধরা পড়েছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, ঐত্রির স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কোনও ওষুধে অ্যালার্জি হলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। সেই অ্যালার্জির ফলে হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসে হেমারেজিক স্পষ্ট দেখা দেয়।
ঐত্রির পরিবারের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চিকিৎসায় গাফিলতি প্রমাণিত। যদিও এবিষয়ে আমরি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, তারা কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি।
এদিন ঐত্রির মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনে শুনানি হয়। মৃতের পরিবারের পাশাপাশি আমরি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শুনানিতে হাজির ছিলেন চিকিৎসক জয়তী সেনগুপ্ত ও হাসপাতালের তত্কালীন ইউনিট হেড জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায়। সেদিন সন্তানহারা মাকে আঙুল উঁচিয়ে শাসিয়েছিলেন যিনি!
স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, দু’পক্ষের বক্তব্য শোনা হয়েছে। হলফনামা আকারে দু’পক্ষের বক্তব্য পেশ করতে বলা হয়েছে। ৭ তারিখ পরবর্তী শুনানি।