কলকাতা: তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরদিনই আবার স্টিং কাণ্ডে চক্রান্তের অভিযোগ তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্টিং কাণ্ডে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরের দিনই ফিরহাদ হাকিম, শুভেন্দু অধিকারীদের দাঁড়ালেন পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোরে দলীয় কর্মশলা থেকে ফের তুললেন চক্রান্তের অভিযোগ। আর এ নিয়েই সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। তাদের দাবি, তদন্তের নামে আসল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। শাসক দলের শীর্ষ নেতারা অবশ্য তদন্তের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।

নারদ নিউজের স্টিং কাণ্ডে ফের সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার নবান্নে দাঁড়িয়ে স্টিং কাণ্ডে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শনিবার দলীয় কর্মশালা থেকে ফিরহাদ হাকিম, শুভেন্দু অধিকারীদের পাশে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সরকারের তরফে তদন্তের নির্দেশ দিতে গিয়ে শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, স্টিংয়ের পিছনে কোনও চক্রান্ত রয়েছে। এদিনও তাঁর গলায় বারবার কার্যত সেই সুরই শোনা গিয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, নির্বাচনের সময় তৃণমূলকে জনমানসে হেয়ো করার জন্যই স্টিং অপারেশন করা হয়। এর নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদের মুখোশ খুলে দেওয়ারও হুমকি দেন তিনি।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে দিয়ে স্টিং কাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়ে জনমানসে দলের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করার চেষ্টা করছেন তৃণমূলনেত্রী। স্টিং কাণ্ডের পিছনে চক্রান্ত রয়েছে, এই অভিযোগ করে এবং ফিরহাদ, শুভেন্দুদের পাশে দাঁড়িয়ে দলীয় স্তরেও একই ধরনের বার্তা দিতে চাইলেন তিনি।

আর মমতার এই অবস্থান নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, তদন্ত হলে তা করানো হোক কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে। কেউ কেউ একধাপ এগিয়ে রাজ্য সরকারের তদন্তকে আইওয়াশ বলেও দাবি করেছেন।

যদিও, তৃণমূল নেতারা এসবে কান দিতে নারাজ। নেত্রীর মতো তাঁরাও চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন।

১৪ মার্চ নারদ নিউজের স্টিং সামনে আসার পর তা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজনীতি। এবার স্টিং কাণ্ডে তদন্তের নির্দেশ ঘিরেও চাপানউতোর চলছেই।