কমিশন সূত্রে খবর, আড়াইশোর বেশি মামলা নিয়ে শুক্রবার বৈঠকের কথা ছিল মুখ্যসচিব এবং ডিজি-র সঙ্গে। কমিশনের চেয়ারপার্সনের দাবি, পূর্ব নির্ধারিত থাকা সত্ত্বেও বৈঠকে আসেননি তাঁরা। আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে নারী নিগ্রহের অভিযোগগুলিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে না পুলিশ। এদিন রেখা শর্মা বলেন, 'উত্তরবঙ্গে বেশি নারী পাচার হচ্ছে। অত্যাচার নিগ্রহ বাড়ছে। রাজ্যে নারীদের ওপর অত্যাচার হলেও সুরাহা হচ্ছে না। অভিযোগে পাত্তা দিচ্ছে না প্রশাসন ও পুলিশ। ....আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশ কিছুই করেনি।'
কমিশনকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী। রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, 'নারী পাচার বেশি যখন উত্তরবঙ্গে হচ্ছে, বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তো অধুনা বিজেপি সাংসদের নামই জড়িয়েছিল। কাস্টডিতে নেওয়া হয়েছিল এক বিজিপি নেত্রীকেই। তাহলে তাঁদের প্রশ্ন করা হোক!'
কেন্দ্রীয় সরকার মহিলা কমিশনের রাজনীতিকরণ করতে চাইছে, বলেও অভিযোগ করেন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী। বৈঠকে বসা সরকারি আধিকারিকদের কাছে যথেষ্ট তথ্য ছিল না বলেও অভিযোগ করেছেন কমিশনের চেয়ারপার্সন। রেখা শর্মার অভিযোগ, তিনি আগে থেকে অ্যাপয়েনমেন্ট নিয়েই কলকাতায় এসেছিলেন মুখ্য সচিব ও ডিজি-র সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু তাঁকে নাকি শেষ মুহূর্তে জানানো হয়, তাঁরা দেখা করতে আসতে পারবেন না। যে বিষয় নিয়ে আলোচনা ছিল, সে বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনও তথ্যও ছিল না। রেখা শর্মার অভিযোগ, ২৭৩ টি কেস, ৬ টি সুয়ো মোটো কেসের সম্পর্কে কোনও কোনও তথ্য নেই। গত ৬ মাসে মহিলা নির্যাতনের কেসের আপডেট দিতে পারেনি পুলিশ, অভিযোগ জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের।
শশী পাঁজা এই অভিযোগ শুনে টেনে আনেন বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের কথা। প্রশ্ন তোলেন, মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন কি হাথরসে গেছেন? বিজেপি শাসিত রাজ্যে তো নারী নির্যাতন বেশি। সেখানেও কি যাচ্ছেন উনি? সেখানকার পরিসংখ্যান নিয়েছেন?
জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের দাবি, এর আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। রেখা শর্মা জানান, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকে লিখিতভাবে এদিনের কথা জানিয়েছেন তিনি, জানাবেন মুখ্যমন্ত্রীকেও।