কলকাতা: শুধু ভ্যাকসিনে হবে না, বাড়াতে হবে রিকাঠামোও। প্রস্তুত থাকতে হবে যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায়। করোনা মোকাবিলায় এমনই মন্তব্য করেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যয়।
এসএসকেএম হাসপাতালের স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রমের ৬৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস ও পুনর্মিলন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনাচক্রে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে দেশে করোনার টিকাকরণ শুরুর প্রসঙ্গে এমনই অভিব্যক্তির কথা শোনালেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।
তিনি বলেন, "আমাদের যেকোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে। হঠাৎ করে সমস্যা তৈরি হতে পারে। আমাদের পরিকাঠামো বাড়াতে হবে। ভ্যাকসিন শুধুমাত্র দেশেই তৈরি হতে হবে এমনটা আমি মনে করি না।"
শনিবার দেশজুড়ে শুরু হল ভ্যাকসিনেশেন। টিকাকরণের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, গুজবে কান দেবেন না। কঠিন সময়ে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের লড়াইয়ে কথা মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রথম পর্বে১ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী ও ২ কোটি সামনের সারির কোভিড যোদ্ধাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়। এদিন ৩,৩৫১টি কেন্দ্রে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭১৪ জনকে দেওয়া হয় টিকা। এশিয়ার অষ্টম দেশ হিসেবে ভ্যাকসিনেশন চালু হল ভারতে। প্রথম ভ্যাকসিন পান দিল্লির স্বাস্থ্যকর্মী মণীশ কুমার।
শনিবার বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভ্যাকসিনেশেনের সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, কঠিন সময়ে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের নাছোড় লড়াইয়ের কথা। রেকর্ড সময়ে প্রতিষেধক তৈরির জন্য বিজ্ঞানী ও গবেষকদের কৃতিত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশজুড়ে সমালোচনা হলেও, এদিন জনতা কার্ফু এবং থালা বাজানোর পক্ষে যুক্তি দেন মোদি। যা নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল।
ভ্যাকসিন নিয়ে যখন ফিলগুড পরিস্থিতি, তখন দিল্লির রামমোনহর লোহিয়া হাসপাতালে দেখা গেল অন্য ছবি। কোভ্যাকসিন নিতে চাইলেন না চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ।
ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ কবে তা জানানো হবে ফোনে। সোমবার ফের হবে টিকাকরণ।