করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সারা দেশে ১৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী । দুপুর দুটো থেকে সন্ধে পাঁচটা পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। ন্যাশনাল টেস্ট এজেন্সি (এনটিএ) সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২৫৪৬ থেকে বাড়িয়ে করেছে ৩৮৪৩। সেই সঙ্গে প্রতি কক্ষে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৪ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ১২।
পরীক্ষা হলের বাইরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বিভিন্ন রাজ্য ভিন্ন ভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষারত পড়ুয়াদের লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত থাকছে। পরীক্ষার্থীদের জন্য জন্য ‘কী করা যাবে’, ‘কী করা যাবে না’ সংক্রান্ত তথ্যও জানানো হয়েছে।
পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে হবে সকাল ১১টা থেকে দুপুর দেড়টার মধ্যে। রবিবার রাজ্যের ৭৭ হাজার পরীক্ষার্থীর নিট পরীক্ষায় বসার কথা।
পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো নিয়েই চরম আশঙ্কায় পরীক্ষার্থীরা!!! কারণ করোনা আবহে চলছে না লোকাল ট্রেন!
তবে রবিবার নিট পরীক্ষার্থীদের জন্য মেট্রো চালাবে কর্তৃপক্ষ। মেট্রো রেলের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার থাকছে না কোনও ই-পাস। পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড থাকলেই স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে একজন করে অভিভাবক যেতে পারবেন। স্মার্ট কার্ড না থাকলে পেপার টিকিট ইস্যু করা হবে। রবিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধে সাতটা পর্যন্ত আপ ও ড়াউন মিলিয়ে ৭৪টি ট্রেন চলবে।
পাশাপাশি রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম ৫০০ এবং দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম সাড়ে ৮৫০টি বাস চালাবে রবিবার। পাশাপাশি প্রত্যেক ডিপোতে অতিরিক্ত বাস তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ডের সঙ্গে রাখতে হবে শারীরিক অবস্থা ও সাম্প্রতিক ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্য সম্বলিত স্ব-ঘোষণা ফর্ম।
বৈধ সচিত্র পরিচয় পত্র।
ব্যক্তিগত হ্যান্ড স্যানিটাইজার (৫০ এমএল)।
মাস্ক ও গ্লাভস, জলের বোতল।
পরীক্ষা হলের মধ্যে স্মার্টফোন, স্মার্ট ওয়াচ, হ্যান্ডব্যাগ, গয়নাগাঁটির মতো সামগ্রী নিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হবে না।