এর ফের একটি ট্যুইট করেন তথাগত। তিনি বলেন, ‘কতগুলো মৌলিক প্রশ্ন আসছে। আমরা নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া গেট থেকে পঞ্চম জর্জকে সরিয়েছি। কলকাতায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনে থেকে রানি ভিক্টোরিয়াকে সরিয়েছি। ঔরঙ্গজেব রোডের নাম বদল করেছি। সবই সরকারের প্রস্তাবে। তেমনভাবেই সরকার যদি লেনিনের মূর্তি সরাতে চায় বা লেনিন সরনির নাম বদল করতে চায়, তাতে কী? কোনও উত্তর আছে?’
অনেকে বলছেন, তাহলে কি ত্রিপুরার রাজ্যপাল ঘুরিয়ে লেনিনের মূর্তি ভাঙার পক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন? তথাগত রায়ের অবশ্য দাবি, তিনি কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছেন মাত্র। এর আগেও এই ইস্যুতে তথাগত আরেকটি ট্যুইট করেন, যেখানে তিনি লেখেন, ‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত এক সরকার কিছু গড়তে পারলে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত আরেক সরকার তা ভাঙতেও পারে।’
কিন্তু একজন রাজ্যপালের একের পর এক এধরনের ট্যুইট দেখে বিরোধীরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। দিল্লি থেকে কলকাতা, সমালোচনায় সরব তৃণমূল। একসুরে এধরনের মন্তব্যের নিন্দা করেছেন বিদ্বজ্জনরাও। সব মিলিয়ে মূর্তি ভাঙা নিয়ে বিতর্কের মধ্যে ক্রমশ জোরাল হয়ে উঠছে ত্রিপুরার রাজ্যপালের ট্যুইট ঘিরে বিতর্ক। তথাগতর অবশ্য দাবি, যে যার মতো তাঁর কথার ব্যাখ্যা করছেন।