কলকাতা: নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর সম্পর্কিত নাতি তথা গবেষক আশিষ রায় দাবি করছেন যে, ১৯৪৫-র ১৮ আগস্ট তাইপেই (তাইওয়ান)-এ বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজীর মৃত্যুর ‘অকাট্য প্রমাণ’ তাঁর কাছে রয়েছে। তিনি জাপানের রেনকোজি মন্দির থেকে নেতাজীর চিতাভস্ম ফিরিয়ে আনার দাবিও করেছেন।

আশিষ রায় বলেছেন, তিনটি রিপোর্ট রয়েছে, যেগুলি থেকে স্পষ্টভাবে জানা যায় যে, বিমান দুর্ঘটনাতেই নেতাজীর মৃত্যু হয় এবং তাঁর তদানীন্তন সোভিয়েত রাশিয়ায় প্রবেশের সুযোগ ছিল না। তাঁর দাবি, জাপান সরকারের দুটি রিপোর্ট থেকে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজীর মৃত্যুর বিষয়টি স্পষ্ট। রাশিয়ার মহাফেজখানায় রক্ষিত অন্য একটি জানা যায়, ১৯৪৫ বা তার পরবর্তীকালে সোভিয়েত রাশিয়ার ঢোকার সুযোগ নেতাজীর ছিল না।

আশিষ রায়ের দাবি, সোভিয়েত রাশিয়ায় কোনওদিনই বন্দী হিসেবে ছিলেন না নেতাজী। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, নেতাজীর রাশিয়ায় চলে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়ত ছিল। কারণ, আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বাধিনায়ক সর্বদাই মনে করতেন যে, কমিউনিস্ট দেশ হিসেবে সোভিয়েতে রাশিয়া ব্রিটিশের অধীনতা থেকে ভারতকে মুক্ত করতে তাঁকে সমর্থন করবে।

আশিষ রায় বলেছেন, নেতাজী বুঝেছিলেন যে, আত্মসমর্পণের পর জাপান আর তাঁকে রক্ষা করতে পারবে না। সোভিয়েত রাশিয়াতে গেলে তিনি বন্দী হতে পারেন অনুমান করেও নেতাজীর একটা আশা ছিল যে, তিনি শেষপর্যন্ত কমিউনিস্ট নেতাদের বুঝিয়ে সমর্থন আদায় করতে পারবেন।