সন্দীপ সরকার, কলকাতা: হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর সেলাইয়ের সুতো সরবরাহ করছে সংস্থা। কিন্তু, কোথা থেকে? তার না কি কোনও হদিশই নেই! সরকারি খাতায় একটা ঠিকানা নথিভুক্ত রয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা গেল ওই জায়গায় এখন সেই সংস্থার কোনও অফিসই নেই!


এনআরএসে সুতোকাণ্ডে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে জোড়া তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আলাদাভাবে তদন্ত করছে ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, এনআরএসে সুতো সরবরাহকারী তিনটি সংস্থা তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। এই তিনটি সংস্থার মধ্যে একটি মুম্বইয়ের, একটি ব্যাঙ্গালোরের এবং অপরটি কলকাতার।

সরকারি সূত্রে খবর, কলকাতার সুতো সরবরাহকারী সংস্থার অফিস রয়েছে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের একটি বাড়িতে। কিন্তু, কোথায় কী! খোঁজ করতে গিয়ে দেখা গেল, এক বছর আগেই না কি সেখান থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে চলে গিয়েছে সংস্থাটি! কিন্তু, কোথায় গেল সংস্থাটি? তাদের অফিস বা কোথায়? উত্তরের খোঁজে তদন্তকারীরাও।

এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগে নিম্নমানের সুতো দিয়ে সেলাই করায় বারবার তা কেটে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী, ১০ দিনের শিশুর শরীরে তিনবার সেলাইয়ের পর সংক্রমণের জেরে মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ।

হাসপাতালের সুতো ও বাইরে থেকে কেনা সুতোর দামের ফারাক নিয়েও সরব রোগীর পরিজনদের একাংশ। এনআরএস সূত্রে খবর, পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগে যে সুতো দিয়ে সেলাই করা হয়েছে বলে অভিযোগ, তার একটির দাম ১৩ টাকা ৩৩ পয়সা। অন্যদিকে, রোগীর পরিবারের দাবি, বাইরে থেকে যে সুতো তাঁরা কিনে এনে দিয়েছেন, তার একেকটির দাম ১ হাজার ৪২১ টাকা! এই প্রেক্ষাপটেই এনআরএস সূত্রে খবর, তিনটি সংস্থার সরবরাহ করা সুতোর ৩২টি নমুনা সংগ্রহ করেছে ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। সুতোর নমুনা পরীক্ষার পাশাপাশি তিনটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও সূত্রের খবর।