কলকাতা: গ্রামের মানুষ নোট বাতিলকে স্বাগত জানিয়েছেন বলে অভিমত জানালেন ইনফোসিসের সহকারী প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণমূর্তি। দেশের তথ্য ও প্রযুক্তি দুনিয়ার শীর্ষ ব্যক্তিত্ব বুধবার কলকাতায় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬-র বিমুদ্রাকরণের পদক্ষেপ সংক্রান্ত এক আলোচনাসভায় বলেন, আমি অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ পন্ডিত নই, তবে দেখেছি, শহুরে বুদ্ধিজীবীরা বিমুদ্রাকরণে খুশি না হলেও গ্রামীণ ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ তাকে স্বাগতই জানিয়েছেন। নিজে অর্থনীতির লোক নন বলে ৫০০, ১০০০ টাকার নোট বাতিলের পিছনের যুক্তিটা তাঁরও বোধগম্য হয়নি বলে জানিয়েছেন নারায়ণমূর্তি।


তিনি বলেন, আমি বিশেষজ্ঞ নই, কিন্তু একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে দেখেছি, কোনও কারণবশতঃ পুরানো ৫০০ টাকার নোট বাতিল করে সরকার দ্রুত ওই আর্থিক অঙ্কের নতুন নোট চালু করেছিল, এমনকী আরও বড় অঙ্কের, ২০০০ টাকার নোটও নিয়ে এল। কেন এমন হল, সেটা একজন বিশেষজ্ঞই বলতে পারেন। আমি বুঝি না, পণ্ডিতদের জিজ্ঞাসা করা উচিত।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ভারত লো-টেক প্রযুক্তির নির্মাণে গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু পঞ্চাশের আমল থেকেই জাপান বা চিনের মতো দেশ সেই পথে হেঁটেছে।

কিন্তু তারা শুধুমাত্র লো-টেক নির্ভর নির্মাণকাজেরই উপযুক্ত। ১৯৫০-এর সময় থেকেই অর্থনীতিবিদদের এদিকে নজর দেওয়া উচিত ছিল।
অটোমেশন ও মানুষের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য থাকা উচিত বলে অভিমত জানিয়ে তিনি বলেন, একটা নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত নির্মাণকাজ বা পরিষেবায় অটোমেশন চালু করব না, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। একটা ভারসাম্য রাখতে হবে আমাদের। পণ্য, পরিষেবায় আন্তর্জাতিক স্তরে পাল্লা দিতে হবে আমাদের, তবে ঘরোয়া উদ্দেশ্যে অটোমেশন চালাব ধীর লয়ে।

তিনি এও বলেন, দেশের ৭৫ শতাংশ শিশু স্কুলে যায়, কিন্তু অষ্টম ক্লাস পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই পড়াশোনা ছেড়ে দেয়, যা দুর্ভাগ্যজনক। এর ফলে ২২ বছর বয়সে গিয়ে তাদের কাজের প্রয়োজন হয়।