তিনি বলেন, আমি বিশেষজ্ঞ নই, কিন্তু একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে দেখেছি, কোনও কারণবশতঃ পুরানো ৫০০ টাকার নোট বাতিল করে সরকার দ্রুত ওই আর্থিক অঙ্কের নতুন নোট চালু করেছিল, এমনকী আরও বড় অঙ্কের, ২০০০ টাকার নোটও নিয়ে এল। কেন এমন হল, সেটা একজন বিশেষজ্ঞই বলতে পারেন। আমি বুঝি না, পণ্ডিতদের জিজ্ঞাসা করা উচিত।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ভারত লো-টেক প্রযুক্তির নির্মাণে গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু পঞ্চাশের আমল থেকেই জাপান বা চিনের মতো দেশ সেই পথে হেঁটেছে।
কিন্তু তারা শুধুমাত্র লো-টেক নির্ভর নির্মাণকাজেরই উপযুক্ত। ১৯৫০-এর সময় থেকেই অর্থনীতিবিদদের এদিকে নজর দেওয়া উচিত ছিল।
অটোমেশন ও মানুষের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য থাকা উচিত বলে অভিমত জানিয়ে তিনি বলেন, একটা নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত নির্মাণকাজ বা পরিষেবায় অটোমেশন চালু করব না, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। একটা ভারসাম্য রাখতে হবে আমাদের। পণ্য, পরিষেবায় আন্তর্জাতিক স্তরে পাল্লা দিতে হবে আমাদের, তবে ঘরোয়া উদ্দেশ্যে অটোমেশন চালাব ধীর লয়ে।
তিনি এও বলেন, দেশের ৭৫ শতাংশ শিশু স্কুলে যায়, কিন্তু অষ্টম ক্লাস পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই পড়াশোনা ছেড়ে দেয়, যা দুর্ভাগ্যজনক। এর ফলে ২২ বছর বয়সে গিয়ে তাদের কাজের প্রয়োজন হয়।