কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে অবিরাম হিংসা। জেলায় জেলায় রক্ত ঝড়ছে! এই পরিস্থিতিতে ভোটের নিরাপত্তায় নজর দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার শুনানির শুরুতে পিডিএস নেতা সমীর পুততুণ্ড বলেন, আমরা চাই না ভোট স্তব্ধ হয়ে যাক। কিন্তু নির্বাচনে উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক। দিকে দিকে বিরোধীরা আক্রান্ত হচ্ছে। আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না।
বিচারপতি সুব্রত তালুকদার কমিশনের কাছে জানতে চায়, তারা কি নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করবে? কমিশনের সচিব নীলাঞ্জন শাণ্ডিল্য বলেন, তাঁরা পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এগোবেন।
বিচারপতি বলেন, ভোটে নিরাপত্তা নিয়ে কী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে? কমিশন জানায়, তারা পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে।
এরপরই আদালত জানায়, কমিশনের কাছে যে সব অভিযোগ আসবে, সেগুলি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখতে হবে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দল এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কার্যকরী বৈঠক করতে হবে কমিশনকে। এরপরই তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা রিপোর্ট আকারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পেশ করতে হবে।
পিডিএসের মামলার প্রেক্ষিতে, এদিন বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের ৯ এপ্রিলের নির্দেশনামা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, যা অভিযোগ আসবে, কমিশনকে তা গুরুত্ব সহকারে নিষ্পত্তি করতে হবে।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে এদিন ফের আদালতের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস ও বিজেপি। তাদের বক্তব্য ছিল, এসডিও অফিসে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে কিনা, তা ২১ এপ্রিল কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করা ছিল না। আদালতের নির্দেশের উদ্দেশ্য সাধিত হয়নি। হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করুক।
কিন্তু বিচারপতি সুব্রত তালুকদার মামলার নিষ্পত্তি করে জানিয়ে দেন, এতে হস্তক্ষেপের প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করছেন না। নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বুধবার ডিভিশন বেঞ্চে যাবে কংগ্রেস।