কলকাতা: রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রশ্নাতীত নয়। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে সেটা প্রত্যাশিত কিন্তু তাদের ভূমিকায় মানুষের ভুরু কুঁচকোচ্ছে। এভাবেই পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তীব্র সমালোচনা করল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ।

মনোনয়নের মেয়াদ বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন কংগ্রেস নেতা ঋজু ঘোষাল। সেই মামলায় বিচারপতি সমাদ্দার জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের কাজে আদালত হস্তক্ষেপ করবে না। তবে পর্যবেক্ষণে তিনি বলেছেন, কমিশনের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। ৩ দিনের বদলে ১ দিনে ভোট করানোর সিদ্ধান্ত এমন কিছু প্রশ্ন তুলছে যা ঠিকমত পরিকল্পনা থাকলে এড়ানো যেত। তাঁর পর্যবেক্ষণ, কমিশন সিঙ্গল বেঞ্চের ২০ এপ্রিলের রায় যথাযথভাবে মানেনি। তারা স্বচ্ছভাবে কাজ করবে এটাই কাম্য কিন্তু তারা নিজেরাই আইনি জটিলতা তৈরি করেছে।

বিচারপতি আরও বলেছেন, ভোট নির্দিষ্ট সময়ে হওয়া উচিত ঠিকই কিন্তু তার মানে এই নয় যে নির্বাচন কমিশন একতরফাভাবে কাজ করবে বা যা ইচ্ছে তাই করবে। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা, আইন মেনে কাজ না করলে তারা মানুষের বিশ্বাস পাবে কী করে।

এদিকে প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি আজ জানিয়েছেন, অন্যান্য বেঞ্চ পঞ্চায়েত সংক্রান্ত সব মামলার কী রায় দিচ্ছে, তার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তাঁর এজলাসে জমা দিতে হবে। অন্য বেঞ্চের রায় দেখে এই মামলার শুনানি চালু করবেন তিনি।