কলকাতা: মনোনয়নের অতিরিক্ত দিনের পর পেরিয়ে গেল আরও ২৪ ঘণ্টা। কিন্তু, মঙ্গলবারও জানা গেল না পঞ্চায়েত ভোট কবে এবং ক’দফায় হবে।
এদিন দুপুর একটা দশ নাগাদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে বৈঠক করতে আসেন পঞ্চায়েত দফতরের ওএসডি সৌরভ দাস। প্রায় ৫০ মিনিট বৈঠক করে। দুপুর ২টো ১০ নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে যান তিনি। সূত্রের খবর, ভোটের নির্ঘণ্ট নিয়ে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মতানৈক্য তৈরি হয়।
রাজ্য সরকার চায়, রমজানের আগে ভোট শেষ করতে। সেক্ষেত্রে একদফায় ভোট করতেও তাদের আপত্তি নেই। আর কমিশন চায় তিন দফায় ভোট করতে। না হলে অন্তত দু’দফায়।
২৩ তারিখ যেহেতু মনোনয়ন দাখিল পর্ব শেষ হয়েছে, তাই বিধি অনুযায়ী ন্যূনতম ২১ দিনের ব্যবধান রেখে ১৪ মে-র আগে ভোট করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে কমিশনের আলোচনায় প্রাথমিকভাবে ১৫ ও ১৭ মে ভোটা করার কথা উঠে আসে।
কমিশনের দফতর থেকে নবান্নে ফিরে প্রথমে মুখ্যসচিব, তারপর মুখ্যমন্ত্রী এবং তারপর ফের মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পঞ্চায়েত দফতরের ওএসডি।
কিন্তু, এরপরও ভোট কবে এবং ক’দফায় হবে, তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কমিশনের কাছে যে সব অভিযোগ আসবে, সেগুলি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখতে হবে।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দল এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কার্যকরী বৈঠক করতে হবে কমিশনকে। এরপরই তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা রিপোর্ট আকারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পেশ করতে হবে।
সূত্রের খবর, নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে চাইছে কমিশন। অন্যদিকে, রাজ্যও রায়ের কপি দেখে তবেই এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চায়। বুধবার রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মধ্যে বৈঠক হতে পারে। তারপর পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ জানা যায় কিনা, সেদিকেই নজর সকলের।
এদিকে, মনোনয়ন দিতে না পারার অভিযোগে এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশন দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান মধ্য কলকাতা কংগ্রেসের কর্মীরা। পুলিশ বাধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরে বিক্ষোভকারী কংগ্রেস নেতাদের আটক করে পুলিশ।