কলকাতা:  রবিনসন স্ট্রিট কঙ্কালকাণ্ডের পার্থ দে’র অস্বাভাবিক মৃত্যু। ওয়াটগঞ্জের ফ্ল্যাটের শৌচালয়ে মিলল অগ্নিদগ্ন দেহ। আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
রবিনসন স্ট্রিটের বাড়ির শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয়েছিল বৃদ্ধ অরবিন্দ দে-র দেহ। রহস্য উন্মোচনে গিয়ে এই বাড়িতেই মেলে পার্থ দে-র দিদি দেবযানী ও দুই পোষ্য কুকুরের কঙ্কাল। এবার সেই পার্থ দে-র অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হল ওয়াটগঞ্জের অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে।
কঙ্কালকাণ্ড সামনে আসার পর বেশ কিছুদিন পাভলভ মানসিক হাসপাতালে ছিলেন পার্থ দে। সুস্থ হয়ে ওঠার পর থাকতেন মাদার হাউসে। তারপর একেবারে অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন পার্থ। রবিনসন স্ট্রিটের বদলে ঠিকানা হয়েছিল ওয়াটগঞ্জ। এক বছর ধরে এই ফ্ল্যাটেই থাকতেন পার্থ দে।
মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ ফ্ল্যাটে এসেছিলেন পার্থ দে-র কেয়ারটেকার। তাঁর দাবি, ভিতর থেকে বন্ধ ছিল দরজা। ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে দরজা খুলে ফ্ল্যাটে ঢোকেন কেয়ারটেকার।
পুলিশ সূত্রে খবর, কেয়ারটেকার দেখেন, শৌচালয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে পার্থ দে-র দেহ। দেহের কাছেই পড়ে ছিল পেট্রোলের বোতল ও দেশলাই বাক্স।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন পার্থ দে। কিন্তু কেন? উত্তর খুঁজছে পুলিশ। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, যথেষ্ট চুপচাপ থাকতেন পার্থ।
২০১৫-তে রবিনসন স্ট্রিটের বাড়িতে শৌচালয়ে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন বাবা অরবিন্দ দে। সেবার শৌচালয়ে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে, আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হন পার্থর বাবা।
প্রায় ২ বছরের মাথায় ওয়াটগঞ্জের ফ্ল্যাটে পার্থ দে-র ক্ষেত্রেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। দুই ঘটনার মধ্যে বহু মিল খুঁজে পাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
দেহ উদ্ধারের পরই ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা ও ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিকরা। কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। রুজু হয়েছে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা।