কলকাতা: চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উত্তেজনা। প্রতিবাদ করলে, রোগীর আত্মীয়দের মারধরের অভিযোগ জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে। রোগীর আত্মীয়দের ঠেকাতেই আত্মরক্ষার প্রয়োজন হয় বলে দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের। ঘটনায় আটক মৃতের পরিবারের ৫ সদস্য।
জোড়াবাগানের বাসিন্দা বছর বেয়াল্লিশের অদিত সিংহ আজ সকালে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। পরিবারের দাবি, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় তাঁকে বুধবার সকালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। সেখান থেকে বহির্বিভাগে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বহির্বিভাগে ২ ঘণ্টা রোগীকে ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ। অবস্থা আরও খারাপ হলে ফের জরুরি বিভাগে আনা হয়। সেখানে অদিতকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
এরপরই হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। এরপরেই হাসপাতাল চত্বরে বাড়ে উত্তেজনা। পরিবারের আত্মীয়দের দাবি, অভিযোগ জানাতে গেলে জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁদের উপর চড়াও হয়।
পরিবারের লোকদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরাও।
ঘটনাস্থলে আসে বউবাজার-সহ ৫টি থানার পুলিশ। দুপুর আড়াইটে নাগাদ জরুরি বিভাগে কাজ বন্ধ করে দেন জুনিয়ররা। ব্যাহত হয় চিকিৎসা পরিষেবা। যদিও ঘটনায় জুনিয়র চিকিৎকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সুপার শিখা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আত্মীয়রাই মারধর করে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাদের প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।