২০১৯ এর লোকসভা ভোটের ঠিক আগে। অমিত শাহের রোড শোয়ের দিন দুষ্কৃতীদের হাতে ভেঙেছিল বিদ্যাসাগর কলেজে স্থাপিত ঈশ্বরচন্দ্রের মূর্তি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় শহর। কারা ঘটালো এমনটা? রাজ্যের শাসক দলের দাবি, র্যালি থেকে বিজেপির সমর্থকরাই পাঁচিল টপকে আঘাত হানে বিদ্যাসাগর মূর্তিতে। অভিযোগ নস্যাৎ করে তৃণমূলের দিকেই আঙুল তোলে গেরুয়া শিবির। এরই কয়েকদিন পর নির্বাচনী প্রচারসভা থেকেই প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেন, ভাঙা আবক্ষ মূর্তির জায়গায় তাঁরাই পঞ্চধাতুর বিদ্যাসাগর মূর্তি গড়ে দেবেন। পরে একটি সভায় মোদিকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘‘আপনার কাছ থেকে আমরা ভিক্ষা নেব না।’’
কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি রয়ে গেছে মৌখিক ই। কলেজের গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক জীবন মুখোপাধ্যায় জানালেন, "কেন্দ্র ১ বছর গড়িয়ে গেলেও মূর্তির বিষয়ে কোনও যোগাযোগই করেনি। মুখের কথা ওখানেই শেষ। বরং রাজ্য সরকার গত বছর মহাপুরুষের জন্মদিনে ফাইবারের মূর্তি স্থাপন করে। উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।"
বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম কুণ্ডু জানান, ঘটনার পর কলেজের তরফে একটি এফ আই আর করা হয়। কিন্তু তার অগ্রগতি সম্পর্কেও জানা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেওয়া প্রতিশ্রুতি তো পূ্র্ণ হয়নি, তবে রাজ্য সরকার কথা রেখেছে।
এই বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা তৃণমূলের দিকেই নিশানা করে বলেন, " নরেন্দ্র মোদি তো মূর্তি গড়ে দিতেই চেয়েছিলেন, কিন্তু তা গ্রহণ করতে চাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা কলেজে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া মূর্তি বসবে কী করে?"
এবছর করোনা আবহে আপাতত বন্ধ পরিকল্পিত সব অনুষ্ঠান। পরিস্থিতি উন্নত হলে হয়ত সেপ্টেম্বরে পালিত হবে ঈশ্বর চন্দ্রের জন্মবার্ষিকী।