কলকাতা: সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকার প্রতারণা। অভিযুক্ত নীরব মোদী ও মেহুল চোকসি দেশ ছেড়ে পলাতক। এদিকে ম্যারাথন তল্লাশি চলছে তাঁদের সংস্থার বিপণিতে।
মঙ্গলবারও কলকাতা ও হুগলি মিলিয়ে মোট ছ’টি জায়গায় তল্লাশি চালান ইডি-র অফিসাররা। কলকাতার যে পাঁচ’টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে একটি মার্কেট এবং চারটি শপিং মল। সাউথ সিটি মল, লেক মল, অ্যাক্সিস মল, কোয়েস্ট মল, বরদান মার্কেটে মেহুল চোকসির একাধিক গয়নার শো-রুমে ইডি তল্লাশি চালায়।
কলকাতার পাশাপাশি শ্রীরামপুরেও একটি জায়গায় তল্লাশি চালান ইডি-র অফিসাররা। ইডি সূত্রে দাবি, এই ছ’টি জায়গার মধ্যে দু’টি জায়গায় পৌঁছে তাঁরা জানতে পারেন, সেখানে মেহুল চোকসির সংস্থার বিপণিই নেই। সেখানে এখন যে সংস্থার বিপণি রয়েছে, তার কর্তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ইডি-র এই তল্লাশি দেখে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, মেহুল চোকসির বিপণি থেকে যে গয়না বা সম্পত্তির নথি বাজেয়াপ্ত হচ্ছে, তা দিয়ে কি পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব হবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সে গুড়ে বালি! প্রথমত, অভিযোগ উঠছে, কম দামি হিরের গায়ে বেশি দামের ট্যাগ লাগিয়ে বিক্রি করতেন দুই অভিযুক্ত! আর তেমনটা হলে তো তদন্তকারীরা যা উদ্ধার করছেন বলে ভাবছেন, পরে দেখা যেতে পারে, তার অর্ধেক দামেরও জিনিস বাজেয়াপ্ত হয়নি!
তাছাড়া আর্থিক তছরুপের মামলায় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হলে সেক্ষেত্রে সম্পত্তি অ্যাটাচ করার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। বাজেয়াপ্ত করার পর এই সম্পত্তি থাকে ইডি-র জিম্মায়। বিচার শেষ হয়ে রায় না আসা পর্যন্ত এই সম্পত্তি থাকে ইডি-র হেফাজতে।
এরপর অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হলে আবার সম্পত্তি চলে যায় সরকারের খাতায়। সেই সম্পত্তি কীভাবে ব্যবহার হবে, সেই সিদ্ধান্ত তখন নেয় সরকার। এখনও নীরব মোদী, মেহুল চোকসির অবস্থানই জানা যায়নি। গ্রেফতারি, বিচার তো অনেক পরের কথা। ইডি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করলেও, পিএনবি-র টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য বহুদিন অপেক্ষা করতে হবে।